১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৪ মে — এই দিনে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা কবিতার ভাব ও সুর বদলে দেয়া এই কবি বাংলা গানের এক কিংবদন্তি প্রতিভা। পিছন ফিরে পড়ে দেখা যাক তার দশটি গান।
১
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে॥
শূন্যে মহা আকাশে
মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে॥
তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
নিত্য তুমি, হে উদার
সুখে দুখে অবিকার;
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে॥
২
আমায় নহে গো – ভালবাস শুধু ভালবাস মোর গান।
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হ’লে অবসান॥
চাঁদেরে কে চায় – জোছনা সবাই যাচে,
গীত শেষে বীণা প’ড়ে থাকে ধূলি মাঝে;
তুমি বুঝিবে না বুঝিবে না –
আলো দিতে পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ॥
যে কাঁটা-লতার আঁখি-জল, হায়, ফুল হ’য়ে ওঠে ফুটে –
ফুল নিয়ে তায় দিয়েছ কি কিছু শূন্য পত্র-পুটে !
সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জলে,
কী তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া-তলে –
বেদনার মহাসাগরের কাছে কর সন্ধান॥
৩
প্রিয় যাই যাই বলো না, না না না
আর ক’রো না ছলনা, না না না॥
আজো মুকুলিকা মোর হিয়া মাঝে
না-বলা কত কথা বাজে,
অভিমানে লাজে বলা যে হ’ল না॥
কেন শরমে বাধিল কে জানে
আঁখি তুলিতে নারিনু আঁখি পানে।
প্রথম প্রণয়-ভীরু কিশোরী
যত অনুরাগ তত লাজে মরি,
এত আশা সাধ চরণে দ’লো না॥
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়।
আমার কথার ফুল গো,
আমার গানের মালা গো ─
কুড়িয়ে তুমি নিও॥
আমার সুরের ইন্দ্রধনু
রচে আমার ক্ষণিক তনু,
জড়িয়ে আছে সেই রঙে মোর
অনুরাগ অমিয়॥
আমার আঁখি-পাতায় নাই দেখিলে
আমার আঁখি-জল,
আমার কণ্ঠের সুর অশ্রুভারে
করে টলমল।
আমার হৃদয়-পদ্ম ঘিরে
কথার ভ্রমর কেঁদে ফিরে,
সেই ভ্রমরের কাছে আমার
মনের মধু পিও॥
আজ বিশ্ব মিনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে। মাসিক স্বাস্থ্যসচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা নারীস্বাস্থ্য শুধু নয়, পারিবারিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্যই জরুরি। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে কথা...