মিছিল খন্দকারের কবিতা

মেলাভর্তি সিকিম

বইমেলা তো বইমেলা

বই দেখি না, মেয়ে—

ধোঁয়ার টানে কোনায় গেলে

কোকিল ওঠে গেয়ে।

 

হট্টগোলে যায় না শোনা

দোনামোনায় থাকি

মুখেতে মাস্ক ফলে কিনা

ফিগারে চোখ রাখি

 

লুক দিলে কি হুক খুলিবে

গাল হবে টুকটুক

সিকিম দেখার মতো করে

দেখছি তোমার বুক।

 

পাখনাজোড়া

তোমার তুড়ির অর্থ জানি অর্থ জানি
ঘাসের বুকে ফুটল যে ফুল ও রাজরানি

 

তাদের ফোটায় চোরাকাঁটায় কাপড় ভরা
তুমি আমার স্নেহ আমিষ হে শর্করা

 

কিংবা ধরো গুলিস্তানে গাছের তলা
একটা বিকাল অপেক্ষাদের এ কানমলা

 

সইতে গিয়ে শিক্ষা হলো ধৈর্যধারণ
তোমার লাগে সবকিছুতে কার্যকারণ

 

কিন্তু আমি বাগান ছাড়াই হলাম মালী
পাখিরা কয়, ‘ওড়ার জন্য দে হাততালি।’

 

কিন্তু আমার হাততালিতে হয় না ওড়া
তুমি এলে মিলবে আমার পাখনাজোড়া।

 

হাওয়ার কারাগার

বসন্তেরই বাতাস লেগে
সকল যাচ্ছে উড়ে
নিবিড় বুকের প্রান্তে থেকে
বাজছি মিহি সুরে

 

কিসের তরে কণ্ঠ কাঁপে
কোথায় ধরে চিড়
নড়ছে জীবন গভীর দিনে
আদি-অনাদির

 

পরক্ষণে চলছে আবার
আগের মতোন ঠিক
ভবিষ্যতের জামায় লাগে
অতীতকালের পিক

 

লিক হওয়া বল ছুটছে মাঠে
শিশুকালের জোরে
পাড়ায় পাড়ায় বর্ষাধারায়
বেকার হাওয়া ঘোরে

 

মোড়ের কাছে থামতে হলো
পুরির দোকানটাতে
ও কারিগর দুইটা পুরি
দাও না হাওয়ার হাতে

 

হাত যে কোথায়, লেগও তো নেই
মুখ দেখি না তার—
তাও তো বিকাল হয়ে উঠছে
হাওয়ার কারাগার!

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here