উত্তম চক্রবর্তীর কবিতা তীক্ষ্ণ অনুভূতির কবিতা, মুহূর্তেই স্পন্দিত করে পাঠকের সংবেদনশীল জগতকে। সহজিয়ায় প্রকাশিত হলো তাঁর তিনটি কবিতা।
নদীকাহিনি
নদীর ওপরে ব্রিজটা হয়নি তখনো,
নদীর কি প্রয়োজন ছিলো — ছিলো না কখনো।
প্রয়োজন ছিলো আমাদের, যথা এগিয়ে যাবার —
ভয়, সংশয় ছিলো অথৈ নদীতে নামার।
নদীর ওপরে ব্রিজটা হয়েছে অবশেষ,
নদীর কাহিনি — পথ পেরুতেই হলো শেষ।
সীমান্তবাস
আমি বার-বার পাখি-পাখি বলে চিৎকার করি
পাখিরা কেমন অনায়াসে বর্ডার ক্রস করছে।
আজীবন সীমান্তেই বসবাস যার
তার আবেদন কি কখনো শেষ হয়!
ও দেশের বিকেলের আলো কখনোবা আসে
আমার জানালা খুলে দেয়,
আমি আবারও পাখি-পাখি বলে চিৎকার করি —
পাখিরা আসে না, ধীরে আসে রেলগাড়ি —
বিতৃষ্ণ শব্দের মধ্যরাত।
উদ্যান ও বনভূমির গল্প
এই যে তোমার পরিপাটি কথামালা,
উদ্যানের মতো সাজানো জীবন —
আমি একদিন এসে পাল্টে দেবো গোলাপের সারি।
বহুতর বনভূমি এক, তোমাকেই ডাকে
তার এলোমেলো তরুলতা
কখন সে ফোটালো কুসুম,
কখন সে সাজালো নিজেকে
তোমাকে জানাতে চায় ইশারায়
কিন্তু তুমি প্রকল্পের হাতে প্রাণ দিয়ে বসে আছো
আমি একদিন এসে বলে যাবো সেই ফুল ফোটানোর গল্প,
আমি একদিন এসে পাল্টে দেবো ফুলটির রং।