১২০৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বরে জন্মেছিলেন আল্লামা জালালুদ্দিন রুমি। তাঁকে স্মরণ করে সহজিয়া প্রকাশ করছে তাঁর গদ্য ও কবিতার অনুবাদ। রুমির কাব্যসম্ভার থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উক্তির অনুবাদ করেছেন দেবজ্যোতি ঘোষ।
১৩১
যে মত্ত খোদার প্রেমে
সে ছাড়া সকলে শিশু!
১৩২
স্রোতে ভেসে চলে শ্যাওলা কেবল,
মলিন করে উপরিতল,
প্রবাহিত হয় গভীর তলে
পবিত্র সেই শান্ত জল।
১৩৩
মৃত্যুসখার সম্মুখে
সুফি মৃদু হাসে নিঃশঙ্কে,
ঝিনুক-বক্ষে আঘাত কি মুক্তার ক্ষতি আনে?
১৩৪
হৃদয় ভরে গেলে দুঃখে
খুলে যায় সুখের দ্বার,
পরমের ইচ্ছা বিহনে
মানুষ দেখে না আকাঙ্ক্ষিতের মুখ।
১৩৫
ধর্মকে ধন্যবাদ,
সে তো পিতৃপ্রদত্ত নয়!
উত্তরাধিকারে পাওয়া সম্পদের মূল্য কোথায়?
১৩৬
মন চাইলে
একত্রিত হাত আর আঙুল মিলে
লিখে ফেলে মহাকাব্য কোনো,
এ দুচোখ মনেরই তো দাস,
মনের হুকুমে চলে পাঁচ ইন্দ্রিয়,
মনের ইশারায় নড়ে অঙ্গ সকল,
মন চাইলে মোক্ষ আর কত দূর?
১৩৭
যদি বিচ্ছেদ চাও,
অহংকারী, মনের দূরত্ব বাড়াও।
জীবন নামের বন্দীশালায় যদি মুক্তি চাও,
প্রিয়র মুখপানে তাকাও।
যদি আলো ধরতে চাও,
তবে হৃদয়ে আগুণ জ্বালাও।
“নত হও শ্রদ্ধায় আর নৈকট্য পাও”।
১৩৮
নিদারুণ যন্ত্রণা,
এ এক নিদারুণ যন্ত্রণা,
পরমপ্রভুর প্রেমহীন জীবন মানে,
জীবন সুধা পান না করেই
মৃত্যুমুখে এগিয়ে চলা।
১৩৯
লোভ আর মোহে জ্বলে মায়ার আগুন,
জ্বালানি বন্ধ করো,
পরমপ্রভু তো জল হাতে প্রস্তুত।
১৪০
আঠারো হাজার মাখলুকাত দুনিয়া জোড়া
তবু চোখ তো পায় না সবার দেখা,
প্রতিটি ধূলিকণায় ঈশ্বরের বাস,
তবু তিনি অধরা।