তুমি ও পরিচয়
তুমি কি মনে করো
বট গাছের মতো
এক পরিচয়ে বসে আছো তুমি
হাজার বছর ধরে?
স্থান, কাল, ভাষা, পেশা
শ্রেণি, লিঙ্গ, ধর্ম
চামড়া, নাক, চোখ
চুল, পোশাক, রুচি
মত, পথ, শ্লোগান —
তোমাকে অখণ্ড মানুষ হিসেবে থাকতে দেয়?
তুমি সদা-নির্মিত
শত পরিচয়ে বিভক্ত
এখনও আদিম —
আছো অপেক্ষায়
কবে পাবে অভিধা
তোমার কাঙ্ক্ষিত, স্বাধীন মানুষ?
আত্মা–জীবনী
ইতিহাসের গলিতে পা ফেলে দেখো
পিরামিড থেকে মহাপ্রাচীর
ক্রুসেড থেকে করোনা
কোথায় যেন একটি পরিচিত গন্ধ;
নিপীড়িত জনগণ, রক্তাক্ত মজুর, শোষিত নারী
দগ্ধ চাষী, আদিবাসী সমাজ
চাপা পড়ে যায় বণিকের পায়।
কাপড়ে বন্দী দাসত্বের পতাকা
চা-কফি, চকলেট-পানীয়, ডেনিমের ভালোবাসায়
তোমাদের প্রমোদ-ক্ষুধায়
খুঁজে দেখো বয়ে যায় এক নদী রক্ত ।
ট্রেনের পাটাতনে খুঁজো
দালানের নিচে দেখো
প্রতিটি দেয়ালে দেখো;
ঝুলন্ত আত্মা, খোলা চোখ
কোন এক থেঁতলানো দেহ।