ফানুস উৎসব থেকে বলছি
শাদা কালো ফ্রেমে আমরা পাতাদের গান করি
দেখি শৈশবের দৈত্যদের বেভুল অসতর্ক প্রেম
দেখছি তুই তুমি আপনি সময় সতর্কে কৌশল
ভাবছি পাখাঝাপটায় সম্পর্ক কতোটা অসহায়
দেখছি সোনালী ফুল রোদ বৃষ্টি হচ্ছে অনবরত
দেখি শরীরের আড়মোড়া ভাঙন গতিবিধি স্বর
শুনছি হাওয়াদের কামছলা অতীত কথার গল্পে
অতঃপর তাহারা সুখে-শান্তিতে
সহবাস বসবাস চাষবাস করছেন
প্রাগৈতিহাসিক সময় ধরে
এখন
দেখি এইসব মৃত ফানুস উৎসব অনুষ্ঠান
আমি তো কবিতা লিখি স্যার
আমার নাক বরাবর ভদ্রলোক
আবহমান বাংলার নৌকায় চড়েন
বাংলায় কথা বলেন বাংলা গান করেন
উদার এক লাল সবুজের নদী হয়ে উঠেন
ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন যে ভদ্রলোক
উনিইতো সবুজ সোনালী ধানের চাষ করেন
লাঙলের ফলায় খুব ই মায়ার কায়ায় ফসল
ভালোলাগে- খুবই জরুরী ভালোবাসা বন্ধুগো
ডানপাশের ভদ্রলোক উনি অদৃশ্য এক শক্তি
দাড়িপাল্লা নিয়ে বণিক চেয়ারে বসে থাকেন
ভীনদেশী প্রোডাক্ট কেনাবেচা করেন- ঠকান
বামপাশের ভদ্রলোক ও দেশেই থাকেন
দেশের কথা হয় ভালোবাসেন লাল দল
রাজপথের মহান শ্রমজীবী মানুষের কথা
ভদ্রবাড়ীর কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে
হয়ে উঠেন চায়না প্রোডাক্ট দালাল চক্ষু
ঘেন্নাপিত্তি — প্রতিবাদ মহামান্য আদালত থু
অতঃপর
কারাে গহীন বনে সুন্দরের ভাগ বসাতে চাইনি
আমি কবিতা লিখি লিখতে হয় তাই-
বই চুরি করেছি বউ চুরি করিনি করবো ও না
কবিতাই লিখতে আসছি ছলা গল্প করতে নয়
দুধভাত কবিতা
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু
স্বরে বা সুরে শালিকের ওড়াউড়ি
উড়ে অন্যরাও — প্রবল আস্থা
দূরের আকাশ দূরে রয়
দুধভাত মন্ত্র পড়ে ঋষি পাখি
গোল হয় মানুষের চিন্তা
ঘোরে অঘোর সম্পর্কে ভাটা পড়ে
ফিরে আসে রুপালি সন্ধ্যা প্রিয়তু
এখন শালিকেরা ফিরে তীরে উঠে
অন্ধকারে শালিক মানুষ বন্ধু হয়
ভেদাভেদ হয় ঝগড়া হয় — মানুষ
কিছুই ভালো লাগেনা
চারপাশে শুধু দেখি কুবেরের ধনরক্ষক
মানরক্ষক দেখিনা নেই কোথাও নেই
কিছুই ভালো লাগেনা
কি বলার আছে- পথিক
দূরের গ্রাম পথ ধরে হাঁটি
মুচকি হাসি হাওয়া খাই
ভাবছি একটা গ্রাম কিনবো
মানরক্ষক নিয়োগ দিবো
এখন
ধন ধোনে যাক কিচ্ছু যায় আসেনা
বালু নদীর কথা
কি সব কথা তোমার সাথে কতোকাল আগে
পাড়ে ওপাড়ে অসংখ্য পরিবার পরিকল্পনা…
জলে সুরে সুখ শরীর দোলে
ভেসে আসে এক ছবি নদীর নাও
ভালোবাসায় পাশে ছিলো শালবন
খুব নিরবে নিভৃতে
তখন
স্পর্শ তোমার বহু শ্রমিকের ঘাম ঝরানো সুখ
ট্রেনের বগিগুলোও চেয়ে থাকতো
এক অপলক দৃষ্টি নিয়ে তোমার দিকেই…
আর এভাবেই চলে মাঝি-মল্লাদের পারাপার
প্রতিদিন
তবু কত-শত প্রেমিক ঠায় নেয় তোমার বুকে
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই ভুল বুঝেছি আজ
অতঃপর
যৌবনে খুঁজে পাওয়া বালু জলে প্রেম-প্রণয়
তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে নেয়