আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব নওরোজ বা নববর্ষ। আফগান নওরোজ মূলত ইসলামপূর্ব জরাথ্রুস্ট্রিয় সংস্কৃতির অংশ। খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের ২১ মার্চ তারিখে আফগান বর্ষগণনার প্রথম দিন — বসন্তের প্রথম দিন। এই দিনে পরিস্কার করা হয় ঘরদোর, কার্পেট, রঙচঙে করা হয় বাড়ি। নতুন জামা, কাপড়, জুতা পরে উদযাপন করা হয় নওরোজের উৎসব। আর থাকে সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। নতুন প্রত্যাশা, উন্নতি, সুপ্রচুর শস্যের লক্ষ্যে পরিবেশন করা হয় নানা ধরনের খাবার। হপ্ত মেওয়া সেসব খাবারের একটি। হপ্ত মানে সাত, মেওয়া মানে ফল; হপ্ত মেওয়া হলো সাত ফলের সমাহার।
খাবার হিসেবে হপ্ত মেওয়া হলো সাত রকম শুকনো ফল ও বাদামের মিশ্রণ। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে নওরোজের সকালে পরিবেশন করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে এতে থাকে সাদা ও হলুদ কিসমিস, শুকনো জলপাই, পেস্তা, আখরোট, কাজুবাদাম এবং শুকনো এপ্রিকট।
উপকরণ
১. আধা কাপ আখরোট।
২. আধা কাপ পেস্তা।
৩. আধা কাপ হলুদ কিসমিস।
৪. ১ কাপ লাল কিসমিস।
৫. আধা কাপ শুকনো চেরি।
৬. ১ কাপ শুকনো এপ্রিকট।
৭. আধা কাপ কাজু বাদাম।
৮. আধ চা-চামচ গোলাপজল।
৯. ৫ কাপ ঠান্ডা পানি।
প্রস্তুত প্রণালি
১. প্রথমে ৩ কাপ গরম পানিতে আখরোট ও পেস্তা রাখতে হবে ২০ মিনিট। আখরোট ও পেস্তাগুলোকে ঘষে সাদা করে তুলতে হবে।
২. বড় পাত্রে পানি দিয়ে কিসমিস, চেরি, এপ্রিকট অন্তত তিনবার ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৩. বাদামগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে গরম পানিতে ঠান্ডা পানি ঢালুন।
৪. বাদাম, আখরোট থেকে সুন্দরভাবে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
৫. এবার বাদাম ও ফলগুলো বড় জারে ভরে ৫ কাপ ঠান্ডা পানি ঢালুন এবং গোলাপজল মিশিয়ে নিন।
৬. খেয়াল করুন গোলাপজল মিশ্রিত পানি যেন ফলগুলোর অন্তত ১ ইঞ্চি ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে।
৭. ফল ও বাদাম ভর্তি জারটি সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন।
পর দিন পরিবেশন করুন রসালো ফল ও বাদাম। ফ্রিজে রাখা হপ্ত মেওয়া খেতে পারবেন ৭ দিন পর্যন্ত।