কাহলিল জিবরানের কবিতা

কাহলিল জিবরান (১৮৮৩১৯৩১) লেবাননের কবি। ইংরেজি আরবি ভাষায় লিখেছেন তিনি।নিশ শতকের শেষের দিকের আধুনিকতামনস্ক সাহিত্যিকদের দ্বারা প্রভাবিত হন। বাইবেল, উইলিয়াম ব্লেইক ফ্রেডেরিক নীৎসের প্রভাব তাঁর লেখায় লক্ষ্যযোগ্য। শেকসপিয়ার চীনের বিখ্যাত কবি লাওজি পর জিবরানের বই সর্বাধিক বিক্রি হয়।

শেয়াল

সূর্যোদয়ের সময় একটি শেয়াল তার ছায়ার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘‘দুপুরের

আজকে একটা উট খাবো।এবং সারা সকাল সে

উটের খোঁজ করল। কিন্তু দুপুরে এসে সে আবারো নিজের

ছায়ার দিকে তাকালো, এবং বললো

একটা ইদুর হলে চলবে।

কবর খননকারী

একদা আমি কবরস্থ করছিলাম আমার এক মৃত

সত্তাকে, কবর খননকারী পাশে এসে বললেন আমাকে,

এখানে যারা কবরস্থ করতে আসে তাদের মধ্যে একমাত্র তোমাকেই

আমি পছন্দ করি।

আমি বললাম, “তুমি আমাকে অসম্ভব খুশি করেছ, কিন্তু কেন তুমি আমাকে পছন্দ কর?”

কারণ সে বললো, “তারা বিলাপ করে আসে, বিলাপ করে যায়। শুধু তুমিই হেসে হেসে আসো, হেসে হেসে যাও।

শিশুদের নিয়ে

তোমার সন্তানেরা তোমার নয়।

তারা জীবনের প্রয়োজনে জীবনের পুত্র কন্যা সন্তান।

তারা তোমার মাধ্যমে জীবন পেয়েছে কিন্তু তুমি তাদের উৎস নও,

এবং যদিও তারা তোমার সাথে থাকে কিন্তু তুমি তাদের মালিক নও।

সন্তানদের তুমি ভালোবাসতে পারো, কিন্তু তাদের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করতে পারো না

কারণ তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা আছে

তুমি শারিরীকভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারো, কিন্তু তাদের আত্মাকে নয়,

কারণ তাদের আত্মার অস্তিত্ব আগামীকালে, যা তুমি দেখতে পাও না, এমনকি স্বপ্নেও না।

তুমি হয়তো তাদের মতো করে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করতে পারো, তবে তাদেরকে তোমার মতো করার চেষ্টা করো না।

কারণ জীবন কখনো অতীতের সাথে তাল রাখে না বা অতীতে ফিরে যায় না।

তুমি হলে ধনুক, তোমার ছেলেমেয়েরা জীবন্ত তির।

ধনুকের মালিকের দৃষ্টি অসীমের দিকে, এবং তিনি তোমার নিয়ন্ত্রক।

ধনুকের মালিকের হাতে তোমার সমর্পণ হোক আনন্দের,

কারণ যদিও তিনি উড়ন্ত তি ভালোবাসেন, সুতরাং ভালোবাসেন স্থির তিরকেও।

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here