সাম্প্রতিক দুনিয়ার সাব-কালচার বা উপ-সংস্কৃতি পাঠের রেওয়াজ বেশ জোরদার। কিন্তু বাংলাদেশে সাব-কালচার বিষয়ক আগ্রহ ও তৎপরতা তেমন একটা চোখে পড়ে না। যদিও বাংলাদেশেও নানা ধরনের সাব-কালচার গড়ে উঠেছে। যেমন : মোটর বাইক, ভিডিও গেইম, লিভ টুগেদার, সমকামিতা ইত্যাদি বিষয়ক সাব-কালচার। ‘কিশোর-গ্যাং’ নামে পরিচিতি দলগুলো প্রকৃতপক্ষে সাব-কালচারেরই একটি ধরন। আমেরিকায় গড়ে ওঠা হিপ্পিরা এমনই এক ধরনের উপসংস্কৃতি।
সাব-কালচার বা উপ-সংস্কৃতি মূলত মূল সংস্কৃতির মান্য রূপ ও রীতিকে অগ্রাহ্য করে এবং প্রতিবাদের স্বরায়ণ ঘটায়। তাই উপ-সংস্কৃতিগুলোকে কখনো কখনো কাউন্টার কালচার বা প্রতিরোধী সংস্কৃতি হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়। কারণ এই সংস্কৃতি সমাজ ও রাষ্ট্রে গড়ে ওঠা আধিপত্যবাদী মত ও মতাদর্শের সমালোচনা করে, বিকল্প ও বিরুদ্ধ মত সৃষ্টি করে। আমেরিকার উপ-সংস্কৃতির ইতিহাসে হিপ্পিরা ঠিক তা-ই করেছে। আর এ কারণে হিপ্পি সংস্কৃতি পৃথিবী জুড়ে নিজেদের স্বতন্ত্র ও প্রভাববিস্তারী পরিচিতি নির্মাণে সক্ষম হয়েছে।
হিপ্পি কারা?
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে আমেরিকান মূল ধারার সংস্কৃতি থেকে গড়ে উঠেছে হিপ্পি সংস্কৃতি — যা ছিল মূলত মূলধারার সংস্কৃতির প্রতিক্রিয়া। তাঁদের পূর্বসূরি হিসেবে ছিল আরেকটি বিখ্যাত কাউন্টার কালচারের ধারক বিট জেনারেশন। এর অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকাণ্ড বিটনিক হিসেবে খ্যাত। পঞ্চাশের দশকে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় আমেরিকায় রক্ষণশীলতা ও দমনপীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছিল। সাহিত্যের ওপর চলছিল কাটাছেঁড়া বা সেন্সরশিপ। শিল্প-সংস্কৃতির অন্যান্য মাধ্যমও কাটছাটের প্রকোপে আহত হয়েছে। ভোক্তাবাদ বা কনজিউমারিজম বেড়েছে দিনের পর দিন। সামাজিক ও রাষ্ট্রিক এই পরিস্থিতির ভেতর প্রতিরোধের গলা চড়িয়েছে বিট জেনারেশন।
বিট জেনারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন তরুণ বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা মূলধারার জীবনাচারণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিল্প-সাহিত্য সব কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রচলিত মূল্যবোধের বিপরীতে মানবসম্পর্ক, রাষ্ট্র, রাজনীতি সম্পর্কে নিজস্ব মত প্রকাশ করার চেষ্টা চালিয়েছে। এ সময়ই তৈরি হয়েছে জ্যাজ এবং লোকধারার বিদ্রোহী সংগীত। বিট কালচারকে জনপ্রিয় করতে পেরেছিলেন কবি জ্যাক ক্যারুয়াক ও অ্যালেন গিন্সবার্গ। সান-ফ্রান্সিসকো থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। কফিশপে বিটদের পদচারণা ও জ্যাজ সংগীত মুখরিত হয়ে উঠত। বিটদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল প্রাচ্যের ধর্ম, সমকামিতা, প্রকৃতিবাদ, সুখবাদী জীবন।
হিপ্পিরা ছিল মিশ্রিত জনগোষ্ঠী — আফ্রিকান-আমেরিকান, হিস্পানিক, গে, লেসবিয়ান। তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল সংস্কৃতিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য।
বিটদের এই সাংস্কৃতিক জীবনাচারণের প্রভাবে ষাটের দশকে গড়ে ওঠে হিপ্পি সংস্কৃতি। ষাটের দশকের আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক টিনেজ তরুণ-যুবাকে উৎসাহিত করেছে হিপ্পিদের সঙ্গে যোগ দিতে। এ সময় নাগরিক অধিকার বিষয়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। ওদিকে ভিয়েতনামে সেনা পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। পারমাণবিক বোমা বিরোধী আন্দোলন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ঠান্ডাযুদ্ধের বিরুদ্ধে। বিট সাহিত্য প্রভাব ফেলছিল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত তরুণদের মধ্যে। আর এসবের প্রভাবেই হিপ্পির নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করছিল আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে; যেমন : সানফ্রান্সিসকোর হেইট-অ্যাশবুরি, নিউইয়র্কের গ্রিনিউইচ ভিলেজ, লস এঞ্জেলেসের সানসেট স্ট্রিপ।
হিপ্পিরা ছিল মিশ্রিত জনগোষ্ঠী — আফ্রিকান-আমেরিকান, হিস্পানিক, গে, লেসবিয়ান। তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল সংস্কৃতিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য। বিটনিক বা বিটরা গ্রিনউইচ ভিলেজে কফিশপ, বই ও সংগীতের দোকান দিয়েছিল। এসবের প্রভাব পড়েছিল হিপ্পিদের মধ্যে। বলা যায়, বিটনিকদের জীবন ও সংস্কৃতির প্রভাব ও সমন্বয়ে ১৯৫০-এর দশক থেকে মধ্য ৬০-দশক পর্যন্ত গড়ে ওঠে হিপ্পি সংস্কৃতি। হিপ্পিরা নিজেরা ছড়িয়ে পড়েছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে।
হিপ্পিদের জীবনের সঙ্গে মিশে ছিল মাদক ও সংগীত। মাদক গ্রহণের মাধ্যমে হ্যালুসিনেশনের অভিজ্ঞতা কীভাবে গ্রহণ করা হয়, তারও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে হিপ্পিরা। ১৯৬২ সালেল টিমোথি লেয়ারি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যালুসিনেশনের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে অধ্যয়ন আরম্ভ করেন। ১৯৬৪ সালে আমেরিকান হিপ্পিরা শোনে দ্যা বিটলস ও দ্যা রোলিং স্টোনের গান। মাদক ও সংগীতের ব্যাপক প্রভাব পড়ে হিপ্পিদের জীবনযাত্রায়। রক, ব্লুজ, ফোক সংগীতেও বড় ধরনের বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলে। অনেকগুলো হিপ্পি ব্যান্ড সংগীত দল গড়ে ওঠে। যেমন : দ্যা ডোরস, দ্যা গ্রেটফুল ডেড, দ্যা ভেলভেট আন্ডারগ্রাউন্ড। এছাড়া অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড সংগীত দল জন্ম নেয়। বিশেষ করে সাইকেডেলিক সংগীত ও আধ্যাত্মিকতা হিপ্পিদের আন্দোলিত করে।
ঘোর মাতাল হ্যালুসিনেশন জাতীয় অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য হিপ্পিরা মারিজুয়ানা গ্রহণ করত। সানফ্রান্সিসকোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম সাইকেলেডিক শপ, যা হেডশপ নামে পরিচিত; এখানে ধূমপানের সামগ্রী, মারিজুয়ানা ইত্যাদি বিক্রি হতো। পাশাপাশি হিপ্পি ও মূল ধারার সংস্কৃতির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হত। হেইটের হিপ্পিরা একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিল Haight Independent Proprietors (HIP)। মূল ধারার ব্যবসায়ীরা হিপ্পিদের ব্যবসায় গ্রহণ করে নি বিকল্প হিসেবে হিপ্পি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল। হেডশপ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে হিপের অবদান। এই হিপকেই সাংবাদিকরা ‘হিপ্পি’ বলে চিহ্নিত করেন। কিন্তু ১৯৬৫ সালে সানফ্রান্সিসকোর নতুন ও অপ্রথাগত জীবনধারায় অভ্যস্ত শিশু-কিশোরদের হিপ্পি বলে অভিহিত করা হয়। ‘‘A New Haven forBeatniks’’ নামের একটি সাংবাদিক গদ্যে প্রথম হিপ্পি জনগোষ্ঠী অর্থে ব্যবহার করা হয় Hippies।
কেমন ছিল হিপ্পিদের জীবন?
হিপ্পিদের জীবন ছিল প্রথাবিরোধী। সে সময়কার আমেরিকার মূল্যবোধকে তারা মোটেই পাত্তা দেয় নি। অথচ অল্প সংখ্যক লেখক, গায়ক, দার্শনিক, রাজনৈতিক নেতা ছিল হিপ্পিদের গুরুস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাদের জীবনাচারণ ও বক্তব্য দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছে হিপ্পিরা। শুধু হিপ্পিরা নয়, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হিপ্পিরা রেখে গেছে স্থায়ী কিছু ছাপ। একগুচ্ছ স্বতন্ত্র হিপ্পি মিলে গড়ে উঠত একেকটা হিপ্পির দল। তবে হিপ্পিদের কোনো মান বা আদর্শ কোনো জীবনবিন্যাস নেই। আমেরিকায় রাস্তায় থাকা হিপ্পিদের জীবনের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল : যৌনতা, বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত মাদক, সংগীত আর প্রতিরোধী রাজনৈতিক ভাষ্য। জীবন সম্পর্কে হিপ্পিদের দর্শন অনেকটা এমন, ‘‘কোনো কিছু যদি ভালো হয়ে থাকে, তাহলে তা চালিয়ে যাও, যতক্ষণ না তা কাউকে আঘাত করো না।’’ সুখবাদী স্বভাবের হিপ্পিরা আঘাতে বিশ্বাস করত না, জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখত। এমন এক সমাজের স্বপ্ন দেখত যেখানে সবাই থাকবে মুক্ত এবং আনন্দদায়ক ও ইতিবাচক কাজে অংশ নেবে। সতর্ক থাকত তা যেন কাউকে আঘাত না করে।
সরল এই দার্শনিকতা দ্বারাই পরিচালিত হত হিপ্পিদের জীবন। তারা আনন্দ আস্বাদন করত, অন্যদেরও আনন্দ উপভোগের জন্য উৎসাহ জোগাত; কিন্তু বিদ্রোহ করতে বলত সামাজিক বিভিন্ন প্রথা, আইন ও অনুশাসনকে। কারণ তারা মনে করত এগুলো জীবনের স্বাভাবিকতা কেটেছেটে দেয়। আনন্দের জগৎকে সংকুচিত করে। বস্তুতান্ত্রিকতা, আগ্রাসনবাদী রাজনীতি এবং সামাজিক অবদমনকে হিপ্পিরা দেখত অসুস্থ সমাজের লক্ষণ হিসেবে। তাই মূলধারার সমাজে অনুসৃত রীতি, প্রত্যাশা ও মূল্যবোধের বাইরে তারা বসাবাস করত।
হিপ্পিরা বিশ্বাস করত ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও সুখবাদের নীতিতে। মূল ধারার সমাজ যদি একে আইন বা নীতিবিরুদ্ধ বলেও থাকে, তাতে তাদের কোনো ভাবান্তর ঘটে নি। তারা প্রথমত গুরুত্ব দিয়েছে নিজেকে, দ্বিতীয়ত পরিবার ও সমাজকে। জন লক ও অ্যাডাম স্মিথের ক্লাসিক্যাল উদারবাদের মতো শোনালেও হিপ্পিরা কোনো উদারনৈতিক ও যুক্তিসংগত মূল ধারার সমাজ গঠন করতে আগ্রহী ছিল না। বরং মেইন স্ট্রিম বা মূলধারাকে বর্জন করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। মূলধারার আমেরিকান সমাজ হিপ্পিদের দার্শনিক অবস্থানকে বলেছে শিশুসুলভ, বলেছে ‘ফ্রাওয়ার চিলড্রেন’। হিপ্পিরাও পাল্টা জবাবে বলেছে তরুণ প্রজন্মের বিপরীতে প্রাপ্তবয়স্ক সমাজ হলো ‘‘দ্যা ম্যান’’।
যৌনতা
হিপ্পিরা যৌনতাকে বেড রুম থেকে নিয়ে এসেছিল বৈঠকখানায়। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে আমেরিকান সমাজ যৌনতা বিষয়ে ছিল রক্ষণশীল। যৌন প্রসঙ্গ নিয়ে প্রকাশ্যে কথাবার্তা হত খুব কম। নগ্নতা, যৌনতা, যৌনসম্পর্ক প্রভৃতিকে ভাবা হত প্রাইভেট বিষয়, যদিও আনন্দদায়ক যৌনতার কথা বিশ্বাস করা হতো। হিপ্পিরা পারিবারিক বন্ধন ও বংশানুক্রম রক্ষার যৌনতাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করত না। তাদের আস্থা ছিল মুক্তি, আত্মপ্রকাশ ও আনন্দে। এ কারণে যৌনতা ও আনন্দ ছিল পরস্পর সংস্থাপিত বিষয়। হিপ্পিরা লজ্জার কারাগার থেকে যৌনতাকে মুক্তি দিতে চেয়েছে। আমেরিকান সমাজ যখন যৌনতাকে ‘‘গোপন’ ও ‘‘নোংরা’’ বিষয় মনে করলেও হিপ্পিরা তা মনে করে নি। হিপ্পিদের কাছে যৌনতা হলে ঐক্য, সংহতি ও ভালোবাসার চূড়ান্ত প্রকাশ। হিপ্পিরা বিকল্প যৌনতাগুলোকে গ্রহণ করেছে; এ কারণে সমকামিতা, শরীর প্রদর্শন ও নারীবাদের মতো বিষয়বস্তুকে বিবেচনার আওতায় নিয়ে এসেছে। মূলত যৌনতা সম্পর্কে গড় যেসব ধারণা মার্কিন সমাজে প্রচলিত ছিল সেগুলোকে প্রশ্ন করেছে হিপ্পিরা।
‘ফ্রি সেক্স’ ধারণাকেও হিপ্পিদের সাংস্কৃতিক প্রবণতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সাধারণত সমাজে নারী-পুরুষ সম্পর্ক বলতে বিশেষ সম্পর্ককে বোঝানো হয়। কিন্তু হিপ্পিরা এই বিশেষায়ণের বিরুদ্ধে। এ কারণে হিপ্পিদের অনেকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, বয়ঃক্রমের হিসেব নির্ভর সম্পর্ক, স্বল্পমেয়াদী সম্পর্ক, বহুগামী সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছে। আগে এসব সম্পর্ককে নোংরা হিসেবে বিবেচনা করা হত। হিপ্পিদের অনেকে যুক্ত ছিলেন দলগত যৌনতায়। মূলত যৌনতা প্রসঙ্গে হিপ্পিরা দিয়েছে ‘নতুন নৈতিকতা’ — যার লক্ষ্য প্রজনন নির্ভর সন্তান উৎপাদন নয়, আনন্দ। স্লোগানে পরিণত হয়েছিল, ‘মেইক লাভ, নট ওয়্যার।’
রাজনীতি
হিপ্পিরা অবস্থান নিয়েছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে। এ কারণে ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা। ষাটের দশকে গড়ে ওঠার নব্য বামপন্থা বা নিউলেফট মুভমেন্টের প্রতি হিপ্পিদের সহানুভূতি ছিল। হিপ্পিরা ভালোবাসায় বিশ্বাসী; তাদের রাজনীতিতেও বিদ্যমান ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। আর তাই হিপ্পিরা অহিংসতার নীতিতে বিশ্বাসী। যুদ্ধবিরোধী নীতি, বামপন্থা এবং নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে হিপ্পিরা ছিল রাজনৈতিকভাবে তৎপর।
হিপ্পিদের রাজনৈতিকতা কাজ করেছে পরিবেশবাদের পক্ষেও। এজন্য তারা নেটিভ আমেরিকানদের ইন্ডিজেনাস জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিল। দার্শনিকভাবে নেটিভ আমেরিকান ভাবনাচিন্তা গ্রহণ করতে চেয়েছে। রাজনৈতিকভাবে হিপ্পিরা জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বিশ্বাস করত আমেরিকানিজম ত্রুটিপূর্ণ। তারা হতে চেয়েছে বৈশ্বিক। নিজেদের চিন্তা, কাজ ও অভিজ্ঞতাকে গ্লোবালি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে।