মঙ্গলীয় জাতিগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে গারো বা মান্দি জনগোষ্ঠীর রয়েছে বিচিত্র ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। বাংলাদেশ ও ভারতের আসামে বসবাসরত গারো জনগোষ্ঠীর বিচিত্র খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চু বা পচুইমদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চু’র উৎপত্তি নিয়ে ভারতের গারো পাহাড়ে বসবাসরত গারোদের মধ্যে একটি লোকগল্প এরকম-অনেক অনেক আগে গারোরা চু পান করা জানত না কেননা চু তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিশেষ করে চু তৈরির জন্য খামি এবং গাজন প্রক্রিয়া আবিষ্কৃত হয়নি।
সর্বপ্রথম তিয়েবাংশি মিসি নোয়েবাল চু তৈরি করার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে চু তৈরির এই প্রক্রিয়াটি তিয়েবাংশি মিসি থেকে পর্যায়ক্রমে তিরাননি র্যাংসিলচি থেকে সোয়েংমা টোটেংমা শিখে নিয়েছিলো। সর্বশেষ সোয়েংমা টোটেংমা থেকে শিখেছিলো অ্যাহনিং বোকজারে চিনিং দিমজারে নরে চিরে। দিমজারের অনেকগুলো ঘর ছিলো। একদিন দিমজারে চু তৈরির জন্য খামি মিশ্রিত ভাতের মটকাটিকে কিছু লতাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে একটি ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিল। খরেংপা খবিনপা গ্যাংগিপক চিদুয়াল চু’র মটকাটিকে চুরি করে নিয়ে একটি উঁচু শিমুল গাছের উপরে বেঁধে রাখে। সেই শিমুল গাছের পাশেই বসবাস করতেন এলংগা এলংগি যিনি আদি গারো মাতৃতন্ত্রের প্রথম নারী, মেঘাম নংস্টিং এর মা। এলঙ্গা এলঙ্গি সুযোগ বুঝে সেই মটকাটিকে গাছ থেকে পেড়ে আনে এবং চু পান করে। বলা হয়ে থাকে এলঙ্গা এলঙ্গিই সর্বপ্রথম গারোদের মধ্যে চু তৈরির প্রচলন শুরু করেন।
বাংলাদেশে গারোদের সামাজিক উৎসব যেমন ওয়ানগালা, মিমাংখাম বা শ্রাদ্ধ, নকনাবা বা নতুন ঘরে প্রবেশ রান্দি মিকচি গালা বা মৃতস্বামীর স্মরণ অনুষ্ঠান ও বিয়ে সহ অন্যান্য অনেক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তৈরি চু পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
কোনো কোনো পরিবারে গারো শিশু জন্ম নেওয়ার একমাস আগে থেকেই চু জাংগি (জীবন মদ) প্রস্তুত করে রাখা হয়। বাঙ্গালী সমাজ ব্যবস্থায় শিশু জন্ম নেওয়ার পর যেমন মধু খাওয়ানোর রীতি প্রচলিত তেমনি গারো সমাজ ব্যবস্থায় শিশু জন্ম নেওয়ার পর চু জাঙ্গি খাওয়ানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে। তাই শিশু জন্ম নেওয়ার পর একটি আঙ্গুল চু জাঙ্গির রসে ডুবিয়ে শিশুকে চুষতে দেওয়া হয়। আর এভাবেই গারো পরিবারে জন্ম নেওয়ার সংগে সংগে শিশুরা চু’র সাথে পরিচিতি লাভ করে। মূলত শিশুর রোগ প্রতিরোধক হিসেবে চু জাঙ্গি খাওয়ানো হয়। গারোদের বিশ্বাস চু জাঙ্গি খাওয়ালে শিশুর পেটের ব্যথা হবে না, কাঁদবে না বরং ঘুমাবে।
গারো সমাজ ব্যবস্থায় সামাজিক শিষ্ঠাচার ও কৃষ্টির বিশেষ অংশ জুড়ে রয়েছে এই পানীয়। গারোদের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রমের পর ক্লান্তি দূর করার জন্য চু পান করা একটি স্বাভাবিক রীতি। কোনো কোনো অনুষ্ঠানে ভাত মাংস খাওয়ানোর চেয়েও চু পরিবেশন করাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। যদি কোনো কারণে সে অনুষ্ঠানে চু দিয়ে আপ্যায়ণ করা না হয় তাহলে অতিথিরা অনুষ্ঠান কর্তার প্রতি নানাভাবে নিন্দা প্রকাশ করে। তাই যেকোনো অনুষ্ঠানে চু এর পরিবেশন আবশ্যক।
গারো সমাজে চু পান করার কিছু নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। প্রাচীন গারোরা চু পানের পূর্বে বিভিন্ন দেবদেবীর স্মরণে অল্প পরিমান চু মাটিতে ঢেলে উৎসর্গ করতো।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত অতিথিরা নিজ সামর্থ অনুযায়ী অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপকরণের পাশাপাশি ঘরে তৈরি চু’এর মাঝারি কিংবা ছোট মাটির হাড়ি বাঁশের মধ্যে বেঁধে নিয়ে আসেন। এরকম অনুষ্ঠানগুলোতে টাকার চেয়ে চু আর দো (মোরগ), চাল বা ওয়াক (শুকর) বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তাই প্রতিটি গারো পরিবার বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর যথেষ্ট পরিমাণ ধান মজুদ রাখে। প্রচলিত মদের মধ্যে চু বা পচুই মদ সব আদিবাসী অঞ্চলেই পাওয়া যায়। সাধারণত চাল, গম, ভুট্টা, যব, গারো আলু (থাবলচু) ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। তবে গারোরা বেশিরভাগ মদই ভাত পচিয়ে তৈরি করে। বেশিরভাগ গারো পরিবারেই আতপ চালের ভাত থেকে উৎকৃষ্ট চু প্রস্তুত করা হয় তবে বিন্নি ধান থেকে তৈরি চু আরও উন্নত এবং উৎকৃষ্ট।
গারো সমাজে চু পান করার কিছু নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। প্রাচীন গারোরা চু পানের পূর্বে বিভিন্ন দেবদেবীর স্মরণে অল্প পরিমান চু মাটিতে ঢেলে উৎসর্গ করতো। গৃহদেবতা নকমিদ্দি, চালের দেবতা রংদিকমিদ্দি, মাটির দেবতা হামিদ্দি, সূর্য দেবতা মিসি সালজং এর উদ্দেশ্যে প্রথমে চু উৎসর্গ করতে হয়। একে গারো ভাষায় রুগালা বলা হয়। গারো ভাষায় চু পানের আসরে বয়সে সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তিকে পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে আসর শুরু করতে হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে পরিবেশন করা হয়। আসরে একে অপরকে চু পান করানোর নিয়মও প্রচলিত রয়েছে।
পুরুষদের পাশাপাশি বিশেষ করে প্রবীণ, মাঝবয়সী এবং তরুণী গারো নারীরাও উঠোনে জড়ো হয়ে ছোট ছোট চু এর আসর জমিয়ে চু পান করে । যিনি পরিবেশন করেন তাকেও চু পান করাতে হয় না চাইলেও জোড় করে পান করাতে হয়। দেখা যায় আসরে যে সবাইকে চু পান করিয়েছে সর্বপ্রথম সেই মাতাল হয়ে পড়ে এবং আবোলতাবোল বকে। তবে গারো সমাজে চু পান সংস্কৃতিকে অত্যন্ত মর্যাদার সংগে বিবেচনা করা হয়। কোনো বিশেষ অতিথি বা চ্রা (মাতৃগোষ্ঠীর দাদা, মামা, ভাই) বাড়িতে এলে চু দিয়েই আপ্যায়ণ করতে হয়। পারিবারিক আলাপ-আলোচনা, বৈঠক শালিসি হলে সেখানেও চু আবশ্যক। চু নিয়ে গারো সমাজে নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে থাকে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনার মীমাংসাও চু দিয়ে হয়ে থাকে। কোনো কোনো ধনী গারো পরিবারে কোনো সম্ভ্রান্ত আগুন্তুক এলে সেই পরিবারের কর্তা নাগ্রা পিটিয়ে আশে-পাশের লোকজনদের চু পানের জন্য নিমন্ত্রণ দেন। সেখানে চু সংগে খাওয়ার জন্য সাধারণত ওয়াক(শূকর) অথবা বড় ষাড় মারা হয়।
গারো আদিবাসী সমাজে সাধারণত তিন ধরনের চু প্রস্তুত করা হয়। হান্ডি চু বা কলসি মটকার চু, সো.আচো (পাকামদ বা পোড়ামদ) এবং ফল-মূল থেকে তৈরি চু। বিভিন্ন অঞ্চলে এই চু’র এর বিভিন্ন নাম থাকলেও চু’ বললে সবগুলোকে বুঝায়।
হান্ডি চু’র বিভিন্ন আঞ্চলিক নাম রয়েছে। আদিবাসী অঞ্চলের কোথাও কোথাও একে হাংগি চু বলে থাকে। হান্ডি চু’র আবার দুভাবে প্রস্তুত করা হয় একটি মাটির কলসীর মধ্যে অন্যটি মটকায়। একটি মটকায় চু তৈরির জন্য ১৫/২০ সের চাল এর ভাতের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে কলসীর চু’র জন্য ৩/৪ সের চালের ভাত হলে যথেষ্ট। কলসীর চু’র চেয়ে মটকার চু’ই উৎকৃষ্ট কেননা মটকার চু’য়ে বেশিপরিমাণে চু বিচ্চি পাওয়া যায় এবং এর স্থায়ীত্ব একমাস পর্যন্ত থাকে। তাছাড়া মটকায় আরেকধরণের চু তৈরি হয় গারোরা আখাম বিচ্চি বলে থাকে। এতে অল্প পোড়াভাত দিয়ে খামি মিশিয়ে দিতে হয়।
চু সাধারণত প্রবীণ গারো মহিলারা বানিয়ে থাকে। চু-এর স্বাদ নির্ভর করে ‘চুমান্থি’র উপর। চুমান্থি হলো চু তৈরিতে ব্যবহৃত বীজ বা খামি। আতপ চাল ভিজিয়ে সেই চালের সঙ্গে নানারকম উদ্ভিজ লতাপাতা মিশিয়ে সেটিকে ঢেঁকিতে ভালভাবে গুঁড়া করে রোদে শুকিয়ে নিতে হয়। পরে সেটিকে কাই করে পিঠা প্রস্তুত করা হয়। খামি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কোনো পিঠাই সরাসরি রোদে না শুকিয়ে পরিষ্কার শুষ্ক খরের উপর সাজিয়ে তার উপর আরেক প্রস্থ শুকনো খড় বিছিয়ে সেই খড় সহ পিঠাগুলিকে ভালভাবে শুকানো হয়। এই খামি মাসখানেক পর চু প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়। খামি তৈরিতে যেসব লতাপাতা উদ্ভিজ গুল্ম ব্যবহার করা হয়ে থাকে গারো মহিলারা সাধারণত তা গোপন রাখেন এবং সবাই নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে নানারকম লতাপাতা মিশিয়ে থাকেন। খামির গুনগত মানের উপর চু’র স্বাদ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে চু সাধারণত মিষ্টি, টক, তিক্ত বা কষা স্বাদের হয়ে থাকে।
চু-এর জন্য আতপ চালই ভাল। আতপ চালের ভাত শুকনা ঝরঝরে রান্না করে অন্ধকার ঘরে পরিষ্কার মাদুরের উপর ছড়িয়ে ভালভাবে ঠান্ডা করে নিতে হয়। ভাত ঠান্ডা হওয়ার পর তাতে পরিমাণমত খামি গুঁড়া করে মিশাতে হয়। পরে একটি পরিষ্কার দিক্কা বা বড় মাটির পাত্র যা কমপক্ষে সপ্তাহ খানেক আগুনের আচে সেঁক দিয়ে শুকনা করে তোলা হয়েছে সেই ভান্ডের মাঝখানে বাঁশের তৈরি দেড় হতে দুই ফিট উচু গোলাকৃতি তলাবিহীন ঝুড়ি, গারো ভাষায় যাকে ‘ঝানছি’ বলা হয়, সেই ঝানছি বসিয়ে ঝানছির চারপাশে খামি মাখানো ভাত সাজিয়ে মটকার মুখের উপরিভাগে কয়েক স্তর আগুনে সেঁকা কলাপাতার আবরণ দিয়ে ভালভাবে আঁটকে অন্ধকার ঘরে রেখে দিতে হবে।
বর্তমানে অনেকেই মটকার পরিবর্তে ঢাকনাযুক্ত বড় বালতি ব্যবহার করে থাকে। মটকা দুই থেকে তিন সপ্তাহ রাখার পর ভাত ভালভাবে পচে ঝানছির মাঝখানে রস জমা হয়। এই নির্ভেজাল রসকে গারো ভাষায় বলা হয় ‘চু বিচ্ছি’। দেখতে অনেকটা সরিষার তেলের মত রঙ । অনেকের মতে এই চু বিচ্ছি বিদেশি যেকোনো উন্নতমানের বিয়ারের তুলনায় উৎকৃষ্ট এবং সুস্বাদু অথচ এতে অ্যালকোহলের পরিমাণ খুবই কম। অনেকেই চুবিচ্চি পান করে অল্পতেই নেশাগ্রস্ত হয়। মটকায় তৈরি চুবিচ্চি দীর্ঘদিন বোতলে ভরেও রাখা যায়।
ঝানছির মাঝখানে জমে থাকা চু বিচ্ছি ফং দিয়ে তুলে নেয়ার পর ঝানছির চারপাশে ভাতের উপর ঠান্ডা জল ঢালা হয়। ফং হলো একপ্রকার লাউ যা নিম্নভাগ মোটা এবং অগ্রভাগ সরু। এটা মূলত পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়। বর্তমানে অনেকেই ফং-এর পরিবর্তে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে থাকে। ফং দিয়ে চু বিচ্চি তুলে নেওয়ার পর ঝাঞ্ছির মাঝখানে পুনরায় যে রস জমা হয় তা আবার ফং দিয়ে তুলে বার বার ভাতের উপর ঢালা হয় এতে করে ঝানছির মাঝখানের রস ক্রমশ ঘোলা হতে থাকে। সেই ঘোলাটে রস আসরে উপবিষ্ট প্রবীণ ব্যক্তিকে এবং অতিথিবৃন্দকে পরিবেশন করা হয়। কলসী বা মটকার চু শেষ হলে পানি ঢেলে পরদিন বাসি চু বা সেগ্রা হিসেবে খাওয়া হয়। মটকায় মদ তৈরির সময়ে অনেকেই এর ভেতরে দু’এক টুকরো আখ বা বাকলবিহীন কলা রেখে দেয়। চু’এর রস ঐ আখ বা কলায় সঞ্চারিত হয় এবং এই আখ কিংবা কলা খেলে চুবিচ্চির মতই নেশা ধরে।
সন্তান জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে সন্তানের মুখে চু জাঙ্গি দেওয়া হয় এরপর মায়ের মুখে দেওয়া হয়। গারোদের বিশ্বাস চু জাঙ্গি পানের ফলে নানারকম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অন্যদিকে চু কাচ্চাং বা পাকা চু’কে অনেক জায়গায় চোলাই মদ, পাট্টা মদ বা দারু বলে। চু কাচ্চাং তৈরির জন্য আলাদা করে ভাত পরিমাণমত পানির সঙ্গের গুড় মিশিয়ে জাগ দিয়ে রাখা হয়। গুড় মিশ্রিত ভাত গলে গেলে সেটিকে সিদ্ধ করে বাষ্প বের করা হয়। সেই বাষ্প একটি সরু নলের সাহায্যে ফোঁটা ফোঁটা অন্য একটি হাঁড়িতে সংরক্ষণ করা হয়ে। সেটিকেই বলা হয় চু কাচ্চাং বা পাকা চু।
চু মান্দে এবং চু কাচ্চাং ছাড়াও গারো সমাজে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার একমাস আগে থেকে চু জাঙ্গি (জীবনমদ) রান্না করার প্রচলন রয়েছে। গারো ভাষায় চু হলো মদ আর জাঙ্গি হলো জীবন। সন্তানের জন্মদিনে চু জাঙ্গি খাওয়ানো হয়। মূলত প্রবীণ ব্যক্তিরাই চু জাঙ্গি পান করে। সন্তান জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে সন্তানের মুখে চু জাঙ্গি দেওয়া হয় এরপর মায়ের মুখে দেওয়া হয়। গারোদের বিশ্বাস চু জাঙ্গি পানের ফলে নানারকম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চু জাঙ্গি পান করার পর ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের কোনো অংশে ব্যথা হলে সেটি সেরে যায় বলে চু জাঙ্গি পান করা হয়ে থাকে।
ইদানিং বিক্রয়ের জন্য গারো সমাজে চোলাই মদের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই চোলাই মদের কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই। চু যেমন আবহমানকাল হতে যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহী গারো কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে লালন করে আসছে এবং সামাজিক মূল্যবোধ ও জীবনবোধের চেতনাকে জিইয়ে রেখেছে ঠিক বিপরীত দিকে চোলাই মদ গারো কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে এবং সামাজিক মূল্যবোধকে কলুষিত করছে। চোলাই মদে অ্যালকোহলের পরিমাণ অধিক পরিমাণে থাকার ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তথ্যসূত্র
১. দ্যা গারোস এন্ড দ্যা ইংলিশ, জেবি ভট্টাচার্য।
২. বাংলাদেশের গারো সম্প্রদায়, শুভাষ জেংচাম
৩. মান্দি জাতির পানীয় ও খাদ্য বৈচিত্র, মিঠুন রাকসাম
৪. গারো হিলস ওয়েবসাইট (ভারত)
৫. উইকিপিডিয়া
গারোদের নিয়ে পড়তে গিয়ে এই পোস্টের খবর পেলাম। ভালো লাগলো চু সম্পর্কে এত তথ্য জেনে। গারো সমাজে যে শুকর খাওয়া হয়, তার জবাইবো রান্না পদ্ধতি সম্পর্কে কোন লেখা আছে?