একগুচ্ছ প্যারাবল : জিভ কাটো প্রজ্ঞায়

সাম্প্রতিক গল্পবিশ্বে আমরা যাকে অনুগল্প বলে জানি, তার অনেক অনেক আগেই ছিল প্যারাবল। এগুলো একই সঙ্গে ছোটগল্পের পূর্বসূরি ও উত্তরসূরি। কবি ও অনুবাদক বদরুজ্জামান আলমগীর অনুবাদ করেছেন বেশ কিছু আকর্ষণীয় প্যারাবল। 

নিকোলাস ম্যাক্সওয়েল

মাঝখানে কাটা ঈশ্বর

ব্যক্তির ভিতর বাহির, একজন মানুষের সামনে আরেকজন মানুষের প্রতিপক্ষতা, আসমান ও জমিনের ফারাক, বাস্তব এবং স্বপ্নের দ্বৈরথ — এগুলোর হাত ধরে মনের খোদা বনাম বনের খোদা, কসমিক ঈশ্বর এবং ক্বলবের এলাহিকে মিলানোর দ্বন্দ্ব সমাজে, রাষ্ট্রে, দর্শনে এক অবিসংবাদিত মৌলিক দ্বন্দ্ব।

 

এমনই এক দোটানা মোকাবেলা করেছেন দার্শনিক, অধ্যাপক নিকোলাস ম্যাক্সওয়েল। তিনি দেখেন — মানুষের মনের ভিতরকার যে শুভবোধ তা নৈমিত্তিকতার ক্লান্তি, আয়াস, বাসনা, ক্ষুধা, বাৎসল্য, যৌনাকাঙ্ক্ষার মিশেল- তার ছন্দ, গতি প্রায়োগিক ও বহুধা অনুশাসন আর অভিব্যক্তিতে বাঙময়; তার থেকেও বড় কথা- তা পরস্পর নির্ভরতার যৌগ।

 

অন্যদিকে যে ঈশ্বর কসমিক একচ্ছত্র ক্ষমতায় প্রতিভাত, অভিব্যক্ত — তা সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক। একটি ব্যক্তিক সীমাবদ্ধতা উপরের নির্বিকার ব্যতিক্রমহীন নীতির সঙ্গে পায়ে পা মিলানোর আদি প্রশ্নটিই মনের ধর্ম ও বইয়ের ধর্মের আসল মোকাবেলা।

 

এই খসখসে অমসৃণ পরিস্থিতিকে একটি পরিস্কার পাটাতনে দৃশ্যমান করার জন্য নিকোলাস ম্যাক্সওয়েল ঈশ্বরকে মাঝখানে কেটে দুই ফালিতে রাখার পরামর্শ দেন।

 

ঈশ্বরকে দুইভাগ করে দেখা যাক, রাখা হোক — তাহলেই কার কোনদিকে যেতে হবে, সেই পথ আস্তে ধীরে খোলাসা হবে।

 

জো মার্টিন

পতঙ্গ

উঁইপোকাদের হাটে একটা তাগিদ ওঠে — কে বাতির আগুন পরখ করে তার স্বভাবের তালাশ দিতে পারে?

 

প্রথম উঁই মোমের চারপাশ ঘুরে এসে রিপোর্ট দাখিল করে : বাতিটা একটা মুকুট যার উপর সূর্যালোক পড়ে ঝিকমিক করে। সরদার বলে, তুমি তো কাছেই ঘেঁষোনি, দূর থেকে উঁকি মেরেছো।

 

এবার দ্বিতীয় উঁইয়ের পালা — সে পাখনা মেলে পতপত করে ঘুরে আসে। বেচারিকে বড় অস্থির দেখায়। আইঢাই খবর বলে : সে এক বিরাট ইতিহাস। আমি ওখানে সটান উড়ে যাই, দূরত্ব বজায় রাখি। কয়েক ঘণ্টা বিষয়টি ঠাহর করি — রীতিমতো গায়ে একটা গরম আঁচ এসে লাগে, এই তাপই আমাকে ঠারেঠুরে আগুনের কাছে যেতে বারণ করে। আমি আলোর মধ্যে একটা সোনালি গুল্লি দেখতে পাই, আর কী হুজ্জতি বলো দেখি — ওই গুল্লির ভিতর একখণ্ড নীলা ঝিলমিল করে!

সরদারের কন্ঠ এবারও জলদ গম্ভীর — তুমিও দূরেই গোত্তা খেয়েছো- তার দিলের খবর আনতে পারোনি।

 

বেহিসাবি তিন নম্বর পতঙ্গ সোজা উড়ে যায় বাতি বরাবর, তার শিখা বেড় দিয়ে ধরে। মথদের কেউ কেউ চিৎকার চেঁচামেচি করে, অনেকে ভয়ে নিজেদের চোখ ঢেকে ফেলে। কিন্তু সরদারজি সবাইকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দেয় — একমাত্র ও-ই আগুনের অন্দরমহলের খোঁজ জানে।

 

তৃতীয় উঁই বাতির জ্বলন্ত সলতে আঁকড়ে ধরে, তারপর ফিরে আসে উঁই নয়, একখণ্ড শিখা উড়তে উড়তে সরদারের কাছে ফিরে আসে; পতঙ্গ আর আগুন আলাদা নয় — দোঁহা মিলে একটি লকলকে বহ্নিশিখা — আগুনের আলজিভ নীলাপাথর নয় আর — এক শুচিশুভ্র নিশানা।

 

কহলিল জিবরান

জ্যোতির্বিদ

একদিন আমি ও আমার বন্ধু এক মন্দিরের ছায়া ঘুপচির ভিতর একজন অন্ধ লোককে দেখতে পাই। আমার বন্ধুটি বলে ওঠে — এই যে, দেশের সবচেয়ে বড় বুজুর্গ মানুষটিকে দেখো।

একসময় আমি আমার দোস্তকে রেখে অন্ধজনের কাছে সালাম দিয়ে দাঁড়াই, কথাবার্তা বলি। জিজ্ঞেস করি, যদি কিছু মনে না করেন, আমাকে বলুন — কতোদিন ধরে আপনি চক্ষুহারা?

এভাবেই জন্মেছি আমি।

আপনার সাধনার মার্গ কী?

আমি একজন জ্যোতির্বিদ। বলেই তিনি নম্রতায় হাতজোড়া বুকের উপর রাখেন — এখানে দুনিয়ার তাবৎ চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ নক্ষত্র সব দেখতে পাই।

 

পাউলো কোয়েলহো

নয়া ঘড়া কানা কলস

বাগানের বয়েসী মালী বেশ কতোকটা দূরের নদী থেকে জল তুলে পাট্টায় বাগানে নিয়ে আসে। ফুলগাছের গোড়ায় গোড়ায় জল ঢেলে দেয় — গাছেরা কলবলিয়ে ডাঙর হয়ে ওঠে, গাছে গাছে নাকফুল, কানের দুল ফুলমঞ্জরি দোলে।

 

মালীর দুই জলতোলা গাগরীর মধ্যে একখান অতি পুরনো — এখানে ওখানে চিলতা উঠে গ্যাছে। অনেকগুলো ফুটো হয়ে আছে বলে পথে পথে পানি পড়ে যায়, বাগানে এসে পৌঁছার পর কানা কলসিতে জল প্রায় থাকেই না।

 

নিজের অকেজো ভাঙাচোরা দশা দেখে ফুটো কলস মালীকে বলে, আমাকে বরং ফেলে দাও ভাই, আমি তোমার দরকারি জল ধরে রাখতে পারি না।

 

মালী কেমন ভূতগ্রস্ততায় বলে, তার আগে চলো তোমাকে একটা জিনিস দেখিয়ে আনি। যেই কথা সেই কাজ, যে-পথে মালী প্রতিদিন জল বয়ে আনে, সেই পথে ভাঙা কলসীকে নিয়ে যায় মালী।

 

মালী বলে, দেখো পথের পাশে কত বুনো ফুল ফুটে আছে। তাই তো দেখছি । এ তোমারই কীর্তি! এই পথে জল নিয়ে যাবার সময় তোমার ছিদ্র দিয়ে রাস্তার ধারে জল গড়িয়ে পড়ে, তার ফলে এমন এক বেহেস্তি বাগান গড়ে ওঠে।

তোমার শরীর ভেঙে পড়েছে — কিন্তু তুমিই বানিয়েছো কী আচানক ফুল বাগিচা!

 

ফ্রানৎস কাফকা

প্যারাবল নিয়ে

অনেককেই অনুযোগ করতে শুনি — আপ্তবাক্য কেবল সুবচনের বাহার, এগুলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কোন কাজে আসে না। প্রজ্ঞাবান মানুষটি বললেন : আগাও, এই কথার ভিতর দিয়ে তিনি কিন্তু বাস্তবিক গজফিতায় মাপা কোন জায়গা অতিক্রম করে যেতে বলেননি; রথে কুলালে আমরা অবশ্য তা করতেই পারি; কথা সেটা না — ঋষি মানুষটি বোঝাতে চেয়েছিলেন অজানার উদ্দেশে পা বাড়াও — এমন কিছুর ইঙ্গিত তিনি করছিলেন — যা তার নিজের কাছেও গাণিতিকভাবে পরিস্কার নয়, এইজন্য তাঁর পক্ষে প্রায়োগিক কোনো নির্দেশনা দেয়াই সম্ভব নয়। প্যারাবল ব্যাপারটাই তাই — যা আগাপাশতলা বোঝা যায় না — তা বোঝার জন্য কুস্তি করা বৃথা; একথা কে না জানে! তবুও দিনানুদিন ভালো কিছু করার জন্য মনেপ্রাণে চেষ্টা করতে হবে — সেটা অন্য ব্যাপার।

 

একজন তো মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলার দশা, বলে কী — এতো গড়িমসি কেন? তুমি যদি সবকিছুর মধ্যে কেবল আপ্তবাক্যের মাজেজা নিয়েই পড়ে থাকো- তাহলে তোমার হাড়ভাঙা খাটুনির সবটাই ভেস্তে যাবে, আর তুমি নিজেই একখান অনড় আপ্তবাক্যে বদ্ধ হয়ে পড়বে!

 

এ-পর্যন্ত শুনে একজন বললো : আমি বাজি ধরে বলতে পারি — এটিও একটি প্যারাবল।
প্রথমজনের উত্তর : তুমি জিতেছো।
দ্বিতীয় জন বলে : আফসোস — জিতেছো, কিন্তু তা-ও আপ্তবাক্যের ময়দানে।
প্রথম জন কহে : না, বাস্তব সত্য এই — প্যারাবলে তুমি হেরেছো।

 

হোর্হে লুইস বোর্হেস

বোর্হেস ও আমি

সবকিছু ওই লোকটাকে নিয়ে ঘটে — লোকে যাকে বোর্হেস বলে ডাকে।

 

আমি বুয়েনোস আয়ারেসের রাস্তা ধরে সটান হেঁটে যাই — যন্ত্রচালিতের মতো দাঁড়িয়েও পড়ি মাঝেমধ্যে, প্রবেশ তোরণের নকশা আর গ্রিলের কারুকাজ একচোখ দেখে নিই। বোর্হেসকে আমি চিনি — চিঠির উপর এই নামটা দেখি, অধ্যাপকদের নামের তালিকায় এই নাম থাকে, আবার জীবনীকোষেও পাই।

 

আমার ওই গ্লাসগুলো ভালো লাগে, যেখানে উপরের অংশে বালু রাখা হলে আস্তেধীরে বালু নিচের অংশে পড়ে- তাতে একঘন্টা সময় লাগে। মৌজার দাগখতিয়ান, পুরনো হস্তলিপি দেখতে ভালো লাগে, কফির আমেজে দারুণ চাঙ্গা হয়ে উঠি আমি, স্টিভেনসনের গদ্যভাষা বড় টানে আমাকে — তার লেখায় এই ব্যাপারগুলো থাকে। কিন্তু কায়মনোবাক্যে না করার কারণে ফলাফল সন্তোষজনক হয় না, মনে হয়, একজন অভিনেতা এগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। আবার আমাদের দুজনের একদম সাপে-নেউলে সম্পর্ক, এটা বলাও ঠিক হবে না।

 

আমি আছি, সুখে-দুঃখে চলে যাচ্ছে; ওই কাগজে কলমের যে বোর্হেস — সে মনের মাধুরি মিশিয়ে লেখাজোখা করে; তার লেখাপত্রে আমাকে কবুল করে।আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, সে কিছু কাজের জিনিস করেছে, কিন্তু এইসব দলিল দস্তাবেজ আমাকে উদ্ধার করে দেবে না। কেননা, সত্যিসত্যিই যদি ভালো কিছু থাকে ওখানে- সেগুলো কারো হিস্যা নয়, এগুলো আমার নয়, সে-ও নিজের বলে দাবি করতে পারে না। কেউ-ই ভালো কোন কিছুর সত্ত্বাধিকারী নয়, তার মালিক আমাদের ভাষা ও পরম্পরা।

 

মৃত্যুর হাতে আমার নিয়তি বাঁধা, একে পাশ কাটিয়ে সামান্য কিছুই হয়তো তার কলমে উঠে আসে। অবশ্য ছিঁটেফোঁটা করে আমার সবই ওকে দিয়ে দিয়েছি। যদিও আমি জানি, সে নিরেট সত্যে কামড় দিয়ে থাকে না, লেখার খাতিরে খানিকটা নড়ে যায়, সরে যায় — কিছুটা বানিয়ে বলে। স্পিনোজা আলবৎ জানে, তাদের সজ্ঞায় এ-ব্যাপার তারা হেব্জ করে।

 

পাথর পারমার্থিকভাবে আবার পাথর জন্ম চায়, বাঘেরও অভিপ্রায় বাঘের জীবন অব্যাহত রাখা। আমিও আমার নয়- বোর্হেসের মধ্যেই থেকে যেতে চাই। আমি যদি আদপেই কেউ হয়ে থাকি — আমি তার বইয়ের মধ্যেই নেহায়েত জীবন্ত দেখতে পাই, আমি বরং নিজেকে অনুভব করি অন্যান্য কাজে; কেউ যদি মনেপ্রাণে গিটার বাজায়- মনে হয়, ওখানে বরং আমি নিজেকে বেশি খুঁজে পাই।

 

বেশ আগের কথা বলছি — একবার ভাবলাম, আমি বরং নিজেকে বোর্হেসের নাগপাশ থেকে খুলে নিই। করলাম কী — আগিলা কালের মায়াদারি পিছনে ফেলে সময়ের স্ফূরণ আর তার হাতে অনন্তের বাজি ধরে বসি — কিন্তু অচিরেই বুঝতে পারি, ওই খেলোয়াড়ি বোর্হেসের দখলে; আমি ফতুর হয়ে গ্যাছি।

 

আমার হয়েছে শনির দশা — আমার সবকিছু হয় খুইয়েছি বোর্হেসের কাছে, নয় গ্যাছে সর্বনাশের হাতে। এই যে একপাতা লেখা হলো, আমি তা-ও জানি না — আমাদের দুজনের মধ্যে কে আসলে এটি লিখেছে!

 

জেন প্যারাবল

বিপদজনক নিরাপত্তা

দুই জেন গুরু ম্যাঙ গঙ আর কিয়ঙ হো এক বনের ধার ধরে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে। তাঁরা বৃষ্টিজলের হাত থেকে বাঁচার জন্য দ্রুত বনের কিনারে একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। পুরো ঘরটি পাথর বসিয়ে বানানো।

একটু বাদেই কিয়ঙ হো বারবার ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখে। ম্যাঙ গঙ তাতে কিছুটা শঙ্কিত আর উৎসুক বোধ করে, ম্যাঙ গঙকে জিজ্ঞেসই করে বসে- এই ঘর খুব শক্ত সাবুদ- তুমি বারবার উপরের দিকে কী দেখো?

ম্যাঙ গঙ বলে- তুমি ঠিক বলেছো। পাথরের চাঁইগুলো খুব পোক্তভাবে লাগানো, তাই এই ছাউনিও খুব নিরাপদ।

কিন্তু নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বিপদজনক।

আগের লেখাঅন্যমনস্ক দিনগুলি ।। কিস্তি : ৫
পরের লেখাবীজ ।। কিস্তি : ১১
বদরুজ্জামান আলমগীর
কবি, নাট্যকার, অনুবাদক। জন্মেছিলেন ভাটি অঞ্চল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। পড়াশোনা বাজিতপুরে, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বহুদিন দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় থাকেন। বাঙলাদেশে নাটকের দল- গল্প থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; নাট্যপত্রের সম্পাদক। নানা পর্যায়ে আরও সম্পাদনা করেছেন- সমাজ ও রাজনীতি, দ্বিতীয়বার, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, পূর্ণপথিক, মর্মের বাণী শুনি, অখণ্ডিত। প্যানসিলভেনিয়ায় কবিতার প্রতিষ্ঠান- সংবেদের বাগান-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রকাশিত বই : আখ্যান নাট্য: নননপুরের মেলায় একজন কমলাসুন্দরী ও একটি বাঘ আসে। কবিতা: পিছুটানে টলটলায়মান হাওয়াগুলির ভিতর। আখ্যান নাট্য: আবের পাঙখা লৈয়া। প্যারাবল: হৃদপেয়ারার সুবাস। কবিতা: নদীও পাশ ফেরে যদিবা হংসী বলো, দূরত্বের সুফিয়ানা। ভাষান্তরিত কবিতা: ঢেউগুলো যমজ বোন। ছিন্নগদ্য : সঙ্গে প্রাণের খেলা।

2 মন্তব্যসমূহ

  1. প্রায় এক নিশ্বাসে পড়েছি। যাকে বলে ওস্তাদে ওস্তাদে নয়া বন্দিশ। যেমন গল্প তেমন অনুবাদ। অনবদ্য! সহজিয়া’কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  2. অভিনব অনুবাদ, শব্দের মঞ্জরিত বাগানে কলবের অনুধ্যান!ওঁনাদের ভিন ভিন ভাষার অনিন্দ্য সুন্দর ভাবনার নিজ ভাষায় স্বচ্ছ,নির্মেদ কল্লোলিত ধ্যনমগ্ন নিশ্চেতন করা অনুরণন!!

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here