ইতি, হিমেল বরকত

সেই শীতসন্ধ্যায়-

অন্তহীন জড়তার চাদর মুড়ি দিয়ে

নতমুখে দাঁড়িয়েছিলাম

ঘোরলাগা প্রান্তিকের শিল্পকলরবে

আপনি কাছে এলেন

ঈষৎ হেসে, সিগারেট বাড়িয়ে দিয়ে —

‘ফারুক সুমন, চুপ কেন? কিছু বলো

গুটিয়ে রেখো না নিজেকে।’

 

অকস্মাৎ অগ্রজের আনুকূল্য পেয়ে

মাটিবর্তী থেকেও যেন হাওয়ায় ভাসি

পেয়েছি প্রবেশাধিকার, শিল্পসভায়

যেন অচঞ্চল জলের বুকে জেগেছে ঢেউ

যেন বোধের বধিরতায় ছুঁয়ে দিলো কেউ

সেই শীতসন্ধ্যায়, কথা গড়ায় শিল্পবিতর্কে

‘আমাদের সাহিত্য উত্তরাধুনিকতার নামে

বিচরণ করে উত্তর-ঔপনিবেশিক মাঠে’

এভাবেই বন্ধু হয়ে যাই আড্ডার পাঠে ।

 

তারপর এইতো সেদিন

হঠাৎ হেমন্তভোরে

লাশবাহী গাড়ির সাইরেন

যদি অনন্তলোকের পথে এতোই তাড়া

তবে কেন ডেকেছেন অটোগ্রাফে-

‘ফারুক সুমন-

আমাদের যেতে হবে বহুপথ, বহুদূরে।

এই প্রত্যয়ের রক্ত গাঢ় হোক।

ইতি

হিমেল বরকত

১৮. ০২. ০৭’

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here