হিমেল বরকত (১৯৭৭-২০২০) এক অকালপ্রয়াত নাম। মহীরুহ এক বৃক্ষ হবেন বলে সাহিত্যজগতে সবে শুরু করেছিলেন তাঁর কর্মযাত্রা। একজন সফল শিক্ষক, সফল গৃহস্থ এমনকি শিল্পসফল কবি ও গবেষক। এত বহুমুখী গুণে গুণান্বিত তিনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ চোখে ও চৌদিকে (২০০১) রচনা করে নিপুণ ছন্দ গাঁথুনির পরীক্ষামূলক লেখায় সফল হয়েছেন। পরে বিষয় ও শিল্পভাবনাকে একত্রিত করে নির্মাণ করেছেন বৈশ্যবিদ্যালয় (২০১৩) কাব্যগ্রন্থটি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে অগ্রজ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মতো তাকেও অকালে বিদায় নিতে হল পৃথিবী থেকে। প্রচারবিমুখ, দলবিমুখ ও আপোসকামিতাহীন এই কবি ক্রমেই নিজের ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছিলেন।
শব্দের দুর্দান্ত গাঁথুনি ও দশমাত্রার ছন্দে রচনা করেছেন দশমাতৃক দৃশ্যাবলি (২০১৪) নামক কাব্যগ্রন্থ। প্রত্যেক লাইনে দশমাত্রা ও মোট দশ লাইনে লেখা প্রতিটি কবিতা প্রেমের প্রগাঢ় রসে ভরপুর। স্বল্প কথায় ভাবপূর্ণ প্রেমের ব্যাখ্যা এতটুকুও চটুল হয়ে ওঠেনি, বরং দশমাত্রার বাঁধনে দীর্ঘ তরঙ্গের এক একটি প্রেমের কবিতা নির্মিত হয়েছে। আলোচ্য বিষয় ‘বৈশ্যবিদ্যালয়’ নামক কাব্যগ্রন্থ। কাব্যগ্রন্থের নামই তৈরি করে বিশেষ ব্যঞ্জনা।
‘বিশ্ব’ শব্দকে ‘বৈশ্যে’ রূপান্তর করে দেশের বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় ও রাজনীতির চোরাস্রোতকেই তুলে ধরেছেন তিনি । ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপাত্মক বাক্যের মাধ্যমে অসুন্দর সত্যকে উন্মোচন করেছেন । কেনইবা একে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বলি বরং পুরো বাংলাদেশ তথা বিশ্ব এই বণিকতন্ত্র দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। অসম পুঁজির বিকাশ ও ভ্রান্তিকর বিশ্বায়নে কর্পোরেটর কোম্পানিগুলোর নতুন নতুন ফন্দি বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দরিদ্র দিন দিন দরিদ্রতর হচ্ছে অন্যদিকে সিংহভাগ সম্পদ উঠছে গোটাকতেক পুঁজিপতি মানুষের হাতে।
আবার দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক পাঠদান পদ্ধতিতে শুদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনে ভাটা পড়েছে। ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি যখন একটি দেশের সার্বভৌম ইতিহাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন সেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই অপরাজনীতির শিকার হয়ে থাকে। ছাত্র ও শিক্ষকদের শুভ রাজনীতির ইতিহাসকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠে অশুভ অস্ত্র রাজনীতি, ক্ষমতা পাকপোক্তকরণের হীন কর্মকাণ্ড। গড়ে ওঠে দলবাজির নোংরা চোরাস্রোত। রাজনৈতিক দলগুলো চায় যেকোন মূল্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রাজনীতিকে নিজস্ব দলমুখী করতে। যেহেতু ক্ষমতায় টিকে থাকা ও একচ্ছত্র আধিপত্যকামী মনোভাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসীন হয়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাজনীতি যাতে তাদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার অস্ত্র না হয়ে ওঠে সেদিকে তারা কড়া নজর দেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্য ব্যক্তির থেকে আপোসকামী, মো-সাহেবি, মেরুদণ্ডহীন, ব্যক্তিত্বহীন ও দলভুক্ত প্রভুভক্ত ভোটারগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
মেধা ও মননের থেকে দৌঁড়ঝাঁপের যোগ্যতা দিয়ে বিচার করা হয় শিক্ষকের যোগ্যতা। এমন শিক্ষক না পারেন ছাত্রের সুপ্ত মনকে বিকশিত করতে না পারেন নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে। ফলে শ্রেণিকক্ষের পাঠদানের অক্ষমতা থেকে ও নিজস্ব জ্ঞানের অক্ষমতাকে ঢাকতে তারা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নোংরা রাজনৈতিক খেলায়। বিপজ্জনকভাবে ব্যবহার করেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের। ক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে সৃষ্টি হয়-আপোসকামিতা। অন্যায় হয়ে যায় ন্যায়। ব্যক্তি বিশেষের জন্য তৈরি হয় নিয়মনীতি। প্রভুভক্তি, দলবাজি, কনুইবাজি ইত্যাদি ঈর্ষাপ্রবণ কার্যকলাপ এখনকার বিশ্বিবদ্যালয়গুলোর নিত্যদিনের ঘটনা। এমনসব প্রত্যক্ষ কার্যকলাপের ফলাফল ‘বৈশ্যবিদ্যালয়’ নামক কাব্যগ্রন্থ। কবির ভাষায়, ‘ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মুক্ত নয় এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের পাশাপাশি বহু শিক্ষকের বৈশ্য প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক মাত্রায়। ক্ষমতার লোভ ও দলীয় স্বার্থের কুঠারে রক্তাক্ত আজ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। ব্যক্তি লাভের তাড়নায় দলবাজি, দলবদল, আপোসকামিতা, আত্মবিক্রয় এসব নানা ব্যাধি নিরাময়হীনভাবে সঞ্চিত হচ্ছে। যুক্ত হয়েছে যৌন-নিপীড়নও।’ (ভূমিকাংশ ‘বৈশ্যবিদ্যালয়’)। কবির বক্তব্য স্পষ্ট। আমরা শুধু বৈশ্যতন্ত্রের এই ব্যাখ্যাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না বরং আরও বিশদ করে দেখতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ই শুধু নয় বরই পুরো বিশ্বই আজ বৈশ্যপ্রবণতা দ্বারা আক্রান্ত। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে যেভাবে বাণিজ্যিক শিক্ষা চালু হয়েছে তাতে মানসম্মত শিক্ষা ব্যাপারটি এখন পুঁথি-পুস্তকের কথা ছাড়া কিছুই না। উইকেন্ড কোর্সের নামে অর্থের বিনিময়ে প্রদান করা হচ্ছে সনদ। যেন বাণিজ্য বিতান খুলে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কবি সে কথাই ব্যাঙ্গার্থকভাবে বলছেন :
সমস্ত সপ্তাহ থাক অফিস বা ব্যবসায় ব্যস্ত।
কোনো ক্ষতি নেই — আপনাদের কথা ভেবেই রেখেছি
সপ্তাহান্তে মাত্র একদিন –মানে উইকেন্ড প্রোগ্রাম,
আরো আছে সন্ধ্যারাগ — বেছে নিনি যার যা পছন্দ। (‘চলিতেছে বাণিজ্য মেলা’)
বিশ্ববিদ্যালয় নামক বাণিজ্য মেলায় আপনি অফিসের ছুটিতে ডিগ্রি পেয়ে যাবেন। তাতেও না কুলালে সন্ধ্যাকালীন কোর্সতো থাকলোই। যাকে কবি ব্যঙ্গ করে বলছেন ‘সন্ধ্যারাগ’। এইসব কোর্সে অকৃতকার্য বলে কোনো শব্দ নেই। গরু দ্রুত মোটাতাজাকরণের মতো এসব কোর্সে দ্রুতই সব শেষ হয়ে যায়। যেন খরিতদাররা অর্থের বিনিময়ে গরু কিনছে তবে কেন নেবে হাড্ডিসার গরু। চাই গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি। ফলে শিক্ষাবাণিজ্যের এই নতুন প্রচলিত ব্যাবস্থাকে কবি শব্দের শরজালে বিদ্ধ করেছেন। চরম অসুন্দর সত্য যেন কবিতায় খিল খিল করে হেসে উঠছে। বেশ্যার প্রতি বিশ্বাস, রাজনীতিকের ধমনী ভরা পাপ ও বুদ্ধিজীবীর রক্ত-স্নায়ুতে যে অপরাধ রুদ্রের সেই কথা নতুন করে ফিরে এসেছে। হিমেল বরকতের কবিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নামক বুদ্ধিবৃত্তি চর্চাকারী মানুষগুলো দিনরাতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কেউ মগজ বন্ধ রেখে দিচ্ছে, কেউ হয়ে উঠছে কুকুরের মতো প্রভুভক্ত। একমাত্র সত্যকার বুদ্ধিবৃত্তি চর্চাকারী মানুষটি আসলে বাউল, আসলে তিনি নির্লিপ্ত কবি। অন্যদের কথায় বোকা, সহজ-সরল, পানসে ও কুপ্রত্যাশাহীন অথচ সৎ।
বর্তমান বিশ্ব যেন পুঁজির চোখে দেখছে সব। পুঁজির চোখে মানুষ একচি প্রোডাক্ট ছাড়া কিছুই নয়। পড়ুয়ার বিদ্যার মান নির্ধারিত হচ্ছে বাজার চাহিদার ওপর। ফলে জ্ঞানার্জনের শিক্ষা বহু আগেই একটু একটু করে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে মানুষ। সত্য এই যে- জ্ঞানার্জন শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়, বরং চাকরি লাভই শিক্ষার উদ্দেশ্য। এটিই এখন প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম যাই থাকুক সেটা চাকরি প্রাপ্তির জন্য অকার্যকর হলে তা গুরুত্বহীন পড়াশুনা। কম কার্যকর হলে কম গুরুত্বপূর্ণ পড়াশুনা। বেনিয়া পুঁজি আমাদের এতই আত্মকেন্দ্রিক ও ব্যক্তিসর্বস্ব করে তুলেছে যে আমরা আত্মবিক্রয়ের পথ ধরে নিরলস হেঁটে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যিনি দান করবেন শিক্ষা, গঠন করবেন শিক্ষার্থীর মেধা ও মনন তিনি নতজানু হয়ে আছেন চাকরিদাতার পায়ের কাছে। নীতিহীন এই নিয়োগ বাণিজ্য ব্যবস্থায় ভাবি শিক্ষার্থী হয়ে উঠছে আরও নীতিহীন :
যেভাবে বুদ্ধিবিক্রেতা স্বার্থান্ধ মগজে লিখে যাচ্ছে
আনুগত্যের দলিল, যেভাবে চাকরিদাতার কাছে
মেরুদণ্ড নুয়ে আছে জাতির মেরুদণ্ড-নির্মাতা —
সেভাবে আমিও হবো সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত দাস। (‘আত্মবিক্রয়ের আবেদন’)
অদ্ভুত হতাশার মধ্যে বসবাস করতে থাকলে চারিদিকের শুভ খবরগুলোও হয়ে ওঠে অশুভ। চোখ, কান কোনটাই সঠিক সাড়া দেয় না। চারিদিকে ভীষণ দুঃসংবাদ থাকলে বদলে যায কবিতার শব্দধ্বনি। কবি শব্দ দিয়ে বিদ্রুপের খেলা খেলেন। ধ্বনিগত সামঞ্জস্য বজায় রেখে প্রায় বিপরীতার্থক শব্দ জুড়ে দেন কবিতায়।
দীর্ঘ পুঁজির দাসত্বে, আপোসকামিতার দাসত্বে থেকে থেকে বিদ্রোহ ভুলে যায় মানুষ। তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে ক্রমাগত ভুল শুনতে থাকে :
তোমাদের কান ঢাকা নেই, তবু কী অদ্ভুত —
‘প্রস্তাব’ বললেই তোমরা শুনছো ‘প্রস্রাব’
‘বাংলাদেশ’ রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে ‘ভাঙ্গা দেশ’-এ।
আমি কী করে বোঝাই —
‘ইতিহাস’-কে কখনোই ‘দীর্ঘশ্বাস’ বলিনি,
‘স্বপ্ন’কে ‘সব NO’ তো নয়ই। (‘কান পরিষ্কার করুন মশাই’)
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে স্বার্থকামী শিক্ষকগণ দলবদল করতে থাকেন। পরিচিত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের অন্যতম সভ্য। স্বার্থে ঘা লাগতে পারে বিধায় চরম বিরোধীর সাথেও চা-চক্রে মেতে ওঠেন তাঁরা। হঠাৎ কার সাথে কার সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে তা ঠাওর করা মুশকিল। বন্দনাগীতির ঢোলক হয়ে ওঠেন শিক্ষক নিজেই।
‘কী চমেৎকার’ কবিতাটিতে সেই শিক্ষক রাজনীতির কলুষিত অধবযায়কে কাব্যছন্দে ধিক্কার দেয়া হয়েছে।
বাজতে বাজতে চলল ঢুলী
মাস্টার গেছে রাজার বাড়ি
রাজা দেবেন রুটি
পাঠশালা তাই ছুটি। (‘কী চমেৎকার’)
স্পষ্টতই এই ‘ঢুলী’ ধামাধারী শিক্ষকরই প্রতিনিধি। রাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য৷ রাজনীতির ডাকে শিক্ষক ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ করে রাজার দেয়া রুটি ভক্ষণে ব্যস্ত। শিক্ষক রাজনীতির এই অপসংস্কৃতির মধ্যে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা৷
কবি হিমেল বরকত সেইসব কেলি-কুরঙ্গে মত্তমান শিক্ষাব্যবস্থার ধামাধারীদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। শুধু কবি হিসেবে তিনি লেখায় সীমাবদ্ধ থাকেননি বরং পেশাগত জীবনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের হত্যার প্রতিবাদে সরব ভূমিকা পালন করেছেন। আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির কার্যালয়ে আগুন দিলে তিনি তাতেও প্রতিবাদে সরব হন। প্রচলিত মো-সাহেবির বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদমুখরতা তাঁর পেশাজীবনে ডেকে এনেছিল দুবির্ষহ যন্ত্রণা।
কনুইয়ের ধাক্কাধাক্কির শিকার স্বয়ং তিনি। ফলে কাছ থেকে দেখা তোষামুদে, ব্যক্তিস্বার্থবাদী শিক্ষকদের মুখোশ তিনি উন্মোচন করেছেন তাঁর ‘বৈশ্যবিদ্যালয়’ নামক কাব্যগ্রন্থে। শুধু হতাশাপ্রবণ অনিয়ম ও অন্যায়ের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেই তিনি থেমে থাকেননি বরং শিক্ষক সমাজের আদর্শবাদী মহৎ প্রাণ শিক্ষকদের তিনি জাগরণের ডাক দিয়েছেন তাঁর ‘বিপরীত ভ্রমণ’ কবিতায়। আত্মমগ্ন প্রলোভন ভুলে, আপোসের আবিলতা ভুলে পুনর্বার এই সব মানুষের কাছে ফেরো। এই সব জীবনের হাত ধ’রে আবারও মিছিলের শঙ্খ বাজাও।
উত্তীর্ণ বিশ্বাসের টুকরো টুকরো ভেঙে পড়ো নতজানু দ্বিধা।
শুধু, পেছনো ফিরো না।
পেছনে ফেরার নাম – পরাজয়
পেছনে ফেরার নাম – জন্মের অবৈধ শিরদাঁড়া… (‘বিপরীত ভ্রমণ’)
অকালপ্রয়াত শিক্ষক, কবি হিমেল বরকতের প্রত্যাশিত জ্ঞানকাঠামোয় গড়ে উঠুক বিশ্ববিদ্যালয়। তোষামুদে ও আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি সর্বস্ব অপসংস্কৃতি থেকে শুদ্ধ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হোক দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়। বণিক পৃথিবীর আঘাতে আঘাতে জর্জরিত কবি হিমেল বরকত জীবন থেকো ছুটি নিয়ে মুক্ত হয়েছেন। আগত প্রজন্ম বেঁচে থেকেই বণিক পৃথিবীর থাবা মুক্ত হোক। অশেষ শ্রদ্ধা জানাই সদ্যপ্রয়াত কবি হিমেল বরকতের প্রতি।