এথেন্সের প্রচলিত একটি ট্র্যাজিডি এ্যালসেস্টিস যা লিখেছেন গ্রিক নাট্যকার ইউরিপিডিস এবং এটি প্রথম মঞ্চায়িত হয়েছিল ৪৩৮ খ্রিস্টপূর্বে। এ্যালসেস্টিস একজন রানী যিনি স্ত্রী হিসেবে তাঁর ভালোবাসা আর ত্যাগের জন্য গ্রিক পুরাণে চির অমর হয়ে আছেন।
এই নাটক শুরু হওয়ার বহুপূর্বে কথিত ছিল যে, এ্যাপোলো দেবতা শাস্তি পেয়েছিলেন এবং নির্বাসিত হয়েছিলেন অলিম্পাস থেকে প্রায় নয় বছরের জন্য। এ্যাপোলো দেবতা তখন থ্যাসালিয়ান রাজা, এ্যাডমিটাসের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এ্যাডমিটাস আবার তাঁর আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। যেহেতু দেবতা তাঁকে সেবাদান করছেন চাকরের মতন তাই তিনি তাঁর সাথে খুব ভালো ব্যাবহার করতেন। এ্যাপোলো যেহেতু গৃহস্থালি কাজে সাহায্য করতেন তাই তাঁর সাথে এ্যালসেস্টিসের এক ধরনের সখ্য তৈরি হয়। তাই যখন এ্যাপোলো দেবের সুযোগ আসে তখন তিনি তার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মৃত্যুর কবল থেকে পালাতে সাহায্য করে। এ্যাডমিটাসের স্ত্রী, এ্যালসেস্টিস, যে এ্যাডমিটাসের বদলে প্রাণদানে রাজি হয়েছিলেন তাঁকে নিয়েই আমাদের নাটকটি রচিত এবং নামকরণও হয়েছে। আসলে এ্যালসেস্টিসের জীবনের শেষদিনটিকে ঘিরে এই নাটকটি রচিত হয়েছে।
রাজা এ্যাডমিটাসের প্রাসাদে এ্যাপোলো দশ বছরের জন্য চাকর হিসেবে থাকে এবং প্রস্থানের সময়ে তাকে উপহার হিসেবে অমরত্ব প্রদান করে শর্ত সাপেক্ষে। শর্তটি হলো কাউকে জীবনদান করতে হবে তার পরিবর্তে। কেউ রাজি হয়না। এ্যালসেস্টিস, তাঁর স্ত্রী, স্বেচ্ছায় তাঁর জীবনদান করে। যখন তাঁর ইহধাম ত্যাগ করার সময় আসে, নাটকটি ঠিক সেই দিনকেই চিত্রিত করে।
পুরুষতন্ত্র ও বিবাহপ্রথা
এ্যালডা ফ্যাসিওর মতে “পুরুষতন্ত্র হলো একটি রাজনৈতিক সংস্থা যা নারী পুরুষের মাঝে ক্ষমতার অসম বণ্টন করে নারীর ক্ষতি করার জন্য। তিনি আরও বলেন পুরুষতন্ত্র ভিন্ন ভিন্ন রূপে সরকার এবং সরকারের সামাজিক-ধর্মীয় গঠনে থাকে। সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক সংস্থা হিসেবে সাম্রাজ্যে, রাজ্যে, ধর্মতত্ত্বে, প্রজাতন্ত্রে, গণতন্ত্রে এবং পুঁজিবাদে এবং সমাজতন্ত্রের সাথে এটি খুব ভালো ভাবে মিশে থাকতে পারে।” (সূত্র : এ্যালডা ফ্যাসিও, ‘‘পুরুষতন্ত্র কী?’’ স্প্যানিশ থেকে অনুবাদকৃত, অনুবাদক মাইকেল সলিস, ২০১৩) আমরা এখানে পুরুষতন্ত্রের সংজ্ঞা আর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানলাম আর একই সাথে পুরুষতন্ত্রের এত দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণও জানতে পারলাম। কিছু ঐতিহাসিক সূত্রের সাহায্যে আমরা এটা প্রমাণও করতে পারবো যে, পুরুষতন্ত্র কোনোভাবেই প্রাকৃতিক নয় এবং এটি সর্বদা বিরাজমান কোন পন্থা হিসেবে ছিলও না যেমনটি এটি প্রমাণ করতে চায় নিজেকে।
পুরুষতন্ত্র সবসময়েই বিবাহপ্রথাকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, যেমনভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা বন্ধের নামে এটি ধর্মকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর এইজন্যই বিবাহ এমন একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে — যা কেবল পুরুষস্বার্থকেই সুরক্ষিত এবং নিশ্চিত করে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এর অহরহ প্রমাণ পাওয়া যায় যে, বিবাহ কেবল পুরুষের ভালো থাকা আর সর্বাবস্থায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকাই নিশ্চিত করে। তাই পরুষের কোন যোগ্যতা থাক আর না থাক তাদের ভালো থাকা নিশ্চিত করে বিবাহ। আর অন্য দিকে একজন নারী তার স্বামীর তুলনায় অধিক যোগ্য হওয়ার পরেও তার কষ্ট করাটাই যেন ভবিতব্য।এবং এটা এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
প্রত্যেকটি সম্পর্কই সম্পর্কে থাকা দুজন অংশীদারের কাছেই একটি জায়গা দাবি করে। কিন্তু বিবাহে একজন স্ত্রী কখনো মা হিসেবে, প্রেমিকা, বন্ধু, সেবিকা, স্ত্রী প্রভৃতি হিসেবে আত্মত্যাগ করে, যখন স্বামীর যেমনটি প্রয়োজন তেমন করে। এই সম্পর্কটি দাঁড়িয়েই থাকে কেবল একজন স্ত্রীর ত্যাগের ওপর। আরও মজার ব্যাপার হলো একজন নারীকেই সবাই এই ত্যাগের পথটি দেখিয়ে দেয় পরিবাবের প্রতি ত্যাগ বলে। আসলে এই ত্যাগ হলো স্বামীর জন্য ত্যাগ আর এইসব নিয়ম পুরুষতন্ত্রের দ্বারা তৈরি নিয়ম। তা নইলে সংসারের জন্য ত্যাগ করতে গিয়ে একজন নারী যেভাবে নিজের সত্তা বিলীন করে দেন একজন পুরুষকে তা করতে হয় না। পুরুষ সংসারের জন্য দায়িত্ব পালন করেও নিজের মন মর্জি মতন করে জীবন পরিচালনা করতে পারে। বিবাহে এই অসম ত্যাগের জ্বলজ্বলে উদাহরণ আমরা পাই এ্যালসেস্টিসে যা আমাদের হতভম্ব করে দেয়।
এ্যালসেস্টিস নাটকে বিবাহে অসম আত্মত্যাগ
একজন স্বামী কখনোই একজন স্ত্রীর মত করে স্ত্রীর জন্য আত্মত্যাগ করে না। যদি কোনো স্বামী নিজ গুণে তার স্ত্রীর জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন তবে তিনি সমাজ দ্বারা বহিষ্কৃত হন; কেননা সমাজ কখনোই এমন স্বামীকে ভালো চোখে দেখে না। অন্য দিকে, এ্যালসেস্টিস নাটকে কোরাসের কণ্ঠে সমাজ এ্যালসেস্টিসকে উদ্বুদ্ধ করছে এই মহান ত্যাগের জন্য এবং এ্যালসেস্টিসকে মৃত্যু পরবর্তী খ্যাতির লোভ দেখাচ্ছে। তথাকথিত সামাজিক মতাদর্শের ধারক ও বাহক কোরাস বলছে :
তিনি যেন এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন:
“তাঁর মৃত্যু তাকে খ্যাতি এনে দিবে
এই পৃথিবীর এক অনন্য মহিয়সী নারীর মতন।“
ছোটবেলা থেকে একটি মেয়েকে শেখানো হয় কীভাবে সংসার, স্বামীর জন্য সামঞ্জস্য,আপস অথবা ত্যাগ করতে হয় বা মানিয়ে চলতে হয়। অথচ একজন পুরুষকে কখনোই তা শেখানো হয়না। এ বৈষম্যকে আমরা এতটাই প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নেই যে, কোনো স্ত্রী যদি তা চায় তবে স্বামীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে খুব অবাক হয়ে যায়। এমনকি সেই স্ত্রীর নিজের পরিবার পর্যন্তও তা সমর্থন করে না।
যদিও কোরাস সমাজের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে এবং কোরাসের মাধ্যমে এ্যালসেস্টিসের আকাশচুম্বী প্রশংসা করা হচ্ছে দেখতে পাই। কিন্তু এলসেস্টিসের সেদিকে কোনো আগ্রহ নেই। বরং এ্যালসেস্টিসের মন শুধু তার স্বামীর প্রতি তার ভালোবাসার দিকেই আছে। কোনো পুরস্কার বা সম্মানের লোভ, অমরত্বের প্রত্যাশা তাকে মোহিত করছেনা। এ্যালসেস্টিস নাটকে এ্যালসেস্টিস তার ভালোবাসা এবং ভালোবাসার প্রতি আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিয়েছে। ভৃত্যদের সংলাপে আমরা এ্যালসেস্টিসের কথা শুনতে পাই যে, সে তার বিবাহবাসরকে ঘৃণা করেনা। বরং একসময় সে এই বিবাহবাসরকে তার কৌমার্য দান করেছে আর আজ সে তার জীবন দান করছে। বিবাহের প্রয়োজনে, তার স্বামীর প্রয়োজনে সে যে কোনো কিছু দান করতে পারে সেটাই আজ প্রমাণিত হবে।
কথায় আছেনা, বিপদে বন্ধুর পরিচয়। রাজা এ্যাডমিটাস যখন তার জীবনের প্রয়োজনে জীবন দান করার জন্য তার পিতা মাতাকে অনুরোধ করে। কেননা তারা তাদের জীবন যথেষ্টই বেঁচে নিয়েছে। এখন বয়স হয়েছে। আর বেঁচে না থাকলেও তো কোনো অসুবিধা নেই। এখন বরং তার পিতা মাতা একটা সুযোগ পেয়েছেন মরে গিয়ে অমর হওয়ার। এ্যাডমিটাস সেখানে আশানুরূপ সাড়া পায় নি। কিন্তু ভালোবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ দেয়ার এই সুযোগ এ্যালসেস্টিস লুফে নেয়।আদতে সমাজ তথা পুরুষতান্ত্রিক সমাজই নারীকে এমন শিক্ষা দিয়ে থাকে।
এখনকার দিনে বিবাহে কিছু হিসাব দেখা যায়, যা একেবারেই ভালোবাসানির্ভর নয়। বরং তা অর্থনৈতিক অবস্থা আর পারিবারিক প্রতিপত্তি প্রভৃতির মিল-অমিল নির্ভর হয়ে থাকে। এবং পাত্র পক্ষ আবার পাত্রী পক্ষের চেয়ে উন্নত আর বড় হওয়াটা অলিখিত নিয়মের মত হয়ে গেছে। আগে এমনতরো নিয়ম মেনে পরিবারগুলো পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন করত আর এখন পাত্র-পাত্রী নিজেরাই এসব মেনে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে। ফলে পরিস্থিতি একই রয়ে গেছে। সুতরাং স্বামী যে স্ত্রীর ওপর প্রভাব খাটাবে, তা তো খুব স্বাভাবিক। স্বামীর জন্য নিজেকে সবসময় শ্রেষ্ঠ মনে করাটাও যৌক্তিক। তখন স্ত্রীর সব ধরনের ত্যাগই অবমূল্যায়িত হয়। সুতরাং যতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র পাত্র-পাত্রীর পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাই বিবাহের পূর্বশর্ত না হবে আমরা বিবাহের সুফল আশাও করতে পারিনা। যতদিন আমরা নিঃশর্ত আর স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসাকে বিবাহের পূর্বশর্ত হিসেবে না দেখবো, বিবাহ মানবজাতির জীবনে তার মাহাত্ম্য হারাবেই।
“বৈবাহিক ভালোবাসা মানব সভ্যতা তৈরি করে, বন্ধুত্বের ভালোবাসা একে যথার্থ করে তোলে কিন্তু কামুক ভালোবাসা একে ধ্বংস আর অবনমিত করে।” (ফ্রান্সিস বেকনের কবিতা “ভালোবাসার” থেকে নেয়া)
যখন পরিবারে তথা সমাজে পুরুষের অত্যাচার করাটা স্বাভাবিক বিষয়, তখন পুরুষের অত্যাচার সীমা অতিক্রম করবে এবং তা অমানবিক হয়ে উঠবে, এটাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আমরা যদি ধরে নিই এ্যাডমিটাস এ্যালসেস্টিসকে ভীষণ ভালোবাসে, তারপরেও সে অমরত্বের লোভে তার প্রাণহরণ করার অধিকার রাখে না। এবং এটি মানবতার সকল সীমা অতিক্রম করে যায়। এই আধুনিক যুগেও বিয়েতে অধিকার হরণ, প্রানহরণের মতো অনেক উদাহরণ আছে, যা মানবতার সকল সীমা অতিক্রম করে। স্বামীর খামখেয়ালি আচরণ, চিন্তার শিকার এমনকি লোভের শিকার হতে হয় বহু স্ত্রীকে আজও। এ্যালসেস্টিসের মত এখনও অনেক মানুষ আছে যারা তাদের স্ত্রীকে যেকোন সীমায় নিয়ে যায় কেননা তারা স্ত্রীকে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে।
এ্যালসেস্টিস যখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তার জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা বলছে, এ্যাডমিটাস তখন নিজের মৃত্যু কামনা করছে। কিন্তু সে বলছেনা যে, তার বদলে এ্যালসেস্টিসের মৃত্যু বরণ করার প্রয়োজন নেই। সে নিজের মৃত্যু কিছুতেই স্বীকার করে নিচ্ছেনা। বুড়ো স্বামীর জন্য যুবতী স্ত্রীর মৃত্যুটাই যেন স্বাভাবিক। আমরা এখানে পরিবারে এবং সমাজে নারীর অবস্থান কোথায় তা জানতে পারি আর একই সাথে নারী-পুরুষের সম্পর্কের গুরুত্ব আর প্রয়োজনীয়তার মতবাদের তুল্য মূল্য বিচার করতে পারি।
কোরাস :
এখনও পর্যন্ত এর চেয়ে শক্তিশালী কিছু খুঁজে পাইনি
প্রয়োজনীয়তার চেয়ে,আর এর কোনো প্রতিষেধকও নেই।
…
প্রয়োজনের কোন বিকল্প হয়না,
পুরুষকে উৎসাহিত করার ছবি নয়
এমনকি সে(এ্যালসেস্টিস) একে ত্যাগ মনে করছেনা,
…
নারী পুরুষের যে কোনো ধরনের সম্পর্কে নারীকে ত্যাগ করতে হবে আর পুরুষকে ভোগ করতে হবে ও পুরো পদ্ধতিটাকে নিয়ন্ত্রণও করতে হবে। আর এটা যুগ যুগ ধরে এত স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে যে, কেউ এর বিরুদ্ধে কোন প্রশ্নও তোলেনা।
পুরুষতন্ত্র ও আত্মপ্রেম
ভারসাম্যহীনতা নানান ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। যখন কেউ অন্যের ভালোবাসা ও ত্যাগের সুফল নেয়। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই দিতে চায়না, তখন তা ধীরে ধীরে আত্মপ্রেমে রূপান্তরিত হয়। আর এই আত্মপ্রেম যখন তার সীমা ছাড়ায় তখন তা আত্মরতিমূলক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারের দিকে যায়। এই আত্মপ্রেমে পড়েই এ্যাডমিটাস অন্ধ হয়ে গেছে। সে তাই তার পিতা মাতাকে অমূলকভাবে দোষারোপ করে এবং অভিশাপ দেয় দুঃখ কষ্টে ভরা বার্ধক্য আহ্বান করে। তার বাবা-মায়ের বেঁচে থাকার ইচ্ছা যে স্বাভাবিক তা সে ভুলে যায় এবং এটি খুব অমানবিক হয়ে ওঠে। তার বাবা-মায়ের সাথে তার ঝগড়ার সময় তাকে খুব অহংকারী মনে হতে থাকে। এখানে আত্মপ্রেম আর অহংকার হলো পুরুষতন্ত্রের ফসল। সে তার বাবা মাকে তার বদলে মৃত্যু স্বীকার করার সুফল আর সুখ্যাতির পথ দেখাচ্ছিল। এ্যালসেস্টিস তার জন্য জীবনদান করলেও তার কাছে মনে হয় তার জন্য যে কেউ জীবনদান করবে এটাই স্বাভাবিক যা আসলে হাস্যকর। এই আধুনিক যুগেও এটি খুব স্বাভাবিক আর সহজলভ্য চিত্র।
এখনকার দিনে আমরা দেখি স্বামীরাই হিমশিম খায়, বর্তমান দ্রুত সময়ের সাথে এবং স্মার্ট স্ত্রীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। তাদেরকে কখনও কখনও মানসিক চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হয় চাহিদা আর বাস্তব অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। এখন স্বামীদেরকে তাদের পৌরুষত্বের অহংকার বুঝে শুনে করার সময় চলে এসেছে। পরিবারে স্ত্রীরা সাধারণত যৌক্তিক, কর্মঠ দেখা যায় আবার একই সাথে বেশির ভাগ দায়িত্বও তাদেরকেই নিতে দেখা যায়। স্বামীরা তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না ফলে হতাশ হয়ে পড়ে।
পরিসমাপ্তিতে বলা যায় এ্যালসেস্টিস নাটকটি পড়ে যেটা ভাবায় সেটা হলো মানবজাতির কল্যাণের জন্য বিবাহে সমানভাবে ত্যাগ করার প্রবণতা খুব জরুরি। অন্যথায় বিবাহপ্রথাটি হারিয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক আর পরিবারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য সমানভাবে বোঝাপড়া এবং সমানভাবে ত্যাগ করার প্রবণতা অতি আবশ্যক।