মৃত্যুদেবতা : ৫

ইয়াসমিনা রেজা ফরাসি নাট্যকার, অভিনেত্রী, ঔপন্যাসিক ও চিত্রনাট্যকার। তাঁর বিখ্যাত নাটক “লা দিয়েউ দু কার্নেজে”র ইংরেজি অনুবাদ গড অফ কার্নেজের বাংলা অনুবাদ করেছেন জাহিন জামাল

 

প্রত্যয় কে আবার! আমি!

 

মৃন্ময়ী এটা আসলেই একটা বাজে আয়ডিয়া ছিল। এই মিটিংটা অ্যারেঞ্জ করাই উচিত হয়নি।

 

প্রত্যয় বলেছিলাম তোমাকে।

 

মৃন্ময়ী বলেছিলে আমাকে? তুমি বলেছিলে?

 

প্রত্যয় হ্যাঁ, আমি। আমি বলেছিলাম তোমাকে।

 

মৃন্ময়ী তুমি আমাকে বলেছিলে এই মিটিং তুমি চাও না?!

 

প্রত্যয় আমি ভেবেছিলাম যে, এটা ভালো কোনো আইডিয়া না।

 

আনিকা এটা অবশ্যই ভালো একটা আইডিয়া ছিল…

 

প্রত্যয় ওহ! প্লিজ!… (সে রামের বোতলটা উঁচু করে ধরে) এনিবডি?

 

মৃন্ময়ী তুমি আমাকে বলেছিলে এই মিটিংটা ভালো কোনো আইডিয়া না, প্রত্যয়?!

 

প্রত্যয় আমার তাই ধারণা।

 

মৃন্ময়ী তোমার তাই ধারণা!

 

ফারহান অল্প একটু পেলে খারাপ হবে না।

 

আনিকা তুমি না বললে তোমাকে যেতে হবে?

 

ফারহান ছোট এক গ্লাস তো খেতেই পারি। মানে…এই এতোকিছু পর! (প্রত্যয় ফারহানকে এক গ্লাস ঢেলে দেয়)

 

মৃন্ময়ী তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো যে এই মিটিংয়ের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছিলাম কি না?

 

আনিকা শান্ত হোন মৃন্ময়ী, প্লিজ শান্ত হোন। এসব বলা এখন অর্থহীন…

 

মৃন্ময়ী ভাপা পিঠাগুলো আজ সকালে কে ধরতে দেয়নি, বলো কে ধরতে দেয়নি? কে বলেছিল এগুলো উনাদের জন্য থাক? বলো কে বলেছিল?

 

ফারহান আহ, এটা বেশ ভালো।

 

প্রত্যয় ওসবের সাথে এর কী সম্পর্ক?

 

মৃন্ময়ী কী? ওসবের সাথে এর কী সম্পর্ক মানে? কী বোঝাতে চাচ্ছো তুমি? বলো কী বোঝাতে চাচ্ছো?

 

প্রত্যয় মানে আমি বলছি, কাউকে দাওয়াত দিতে হলে, দাও দাওয়াত।

 

মৃন্ময়ী তুমি একটা মিথ্যুক! ডাহা মিথ্যুক একটা তুমি! শুনুন ও একটা মিথ্যুক!

 

ফারহান শুনুন, ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে বলছি, আমার স্ত্রী এসবের মধ্যে আমাকে জড়িয়েছে। নায়ক জসিমের মতো পুরুষত্ব নিয়ে আপনি যদি বেড়ে ওঠেন তাহলে এ ধরনের সমস্যা আপনি অনেক প্যাঁচাল পেরে সমাধান করতে চাইবেন না। (প্রত্যয় হেসে ওঠে)

 

আনিকা আমার তো ধারণা ছিল তোমার আইডল ফারুক।

 

ফারহান একই কথা। রামটা অসাধারণ!

 

প্রত্যয় বলেছিলাম আমি। ইংলিশ হার্বার, অ্যান্টিগা থেকে আসা, ১০ বছরের পুরোনো!

 

মৃন্ময়ী আর টিউলিপের কথা তো বললামই না। এটা কার বুদ্ধি ছিল? বলো এটা কার বুদ্ধি ছিল? আমি বলেছিলাম সকাল সকাল টিউলিপ শেষ হয়ে যাওয়াটা লজ্জার! আমি বলিনি সকালের এতো ভীড়ের মধ্যে ফুলার রোডের দোকানে দৌড়ে গিয়ে কিনে আনো।

 

আনিকা এসব কথা থাক, মৃন্ময়ী।

 

মৃন্ময়ী এই টিউলিপগুলো এখানে রাখার বুদ্ধিটাও তারই। সম্পূর্ণ তার আইডিয়া। আর আমরা কি কোনো ড্রিংক পাবো না?

 

আনিকা হ্যাঁ, তাই তো। মৃন্ময়ী আর আমি, আমরা দুজনেই এক পেগ করে চাই। বাই দ্য ওয়ে, ফারুক-জসিমের মতো নায়কের ভক্ত হওয়া সত্বেও আপনি একটা খরগোশছানা হাত দিয়ে ধরতে পারেন না! এটা খুবই আশ্চর্য্যরে!

 

প্রত্যয় খরগোশ নিয়ে আর একটা কথাও বলবেন না আপনি। খরবদার আর একটা কথাও না! (প্রত্যয় আনিকাকে এক পেগ রাম দেয়)

 

মৃন্ময়ী হাহাহাহা! আপনি ভালো জিনিস লক্ষ্য করেছেন তো! ফারুক-জসিমের মতো এতো সাহসী নায়কের ভক্ত একটা খরগোশছানা হাতে নিয়ে পারে না। ব্যাপারটা সত্যিই হাস্যকর।

 

আনিকা উনাকে দিলেন না?

 

প্রত্যয় ওর খেতে হবে না!

 

মৃন্ময়ী আমি চাই প্রত্যয়!

 

প্রত্যয় না।

 

মৃন্ময়ী বলছি আমাকে দাও। দাও আমাকে বলছি। আমি নেবোই নেবো। দাও, দাও বলছি।

 

প্রত্যয় না, না, না, কক্ষনো না। (মৃন্ময়ী দৌড়ে এসে প্রত্যয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রামের বোতল ছিনিয়ে নিতে চায়। প্রত্যয় প্রতিরোধ করে।)

 

আনিকা আপনার সমস্যাটা কী, প্রত্যয়?

 

প্রত্যয় ওকে, ঠিক আছে, নাও…নাও…খাও, খেয়ে মরো…কার কী!

 

আনিকা ওর কি অ্যালকোহল নেয়া বারণ?

 

মৃন্ময়ী অসাধারণ!

 

ফারহান আচ্ছা, আমি ঠিক জানি না যে…

 

মৃন্ময়ী (ফারহানকে) শুনুন, মি. ফেরদৌস…

 

আনিকা ফারহান…ফারহান বলুন…

হ্যাঁ, ফারহান…আমরা সৌলমেট নই… তোমার-আমার কথা বলছি…দেখতেই পাচ্ছেন এমন একজনের সাথে থাকি যে এখন এবং সবসময়ের জন্যই মনে করে জীবন হলো সেকেন্ড গ্রেডের সিনেমার মতো। কোনো কিছুর পরিবর্তন ঘটুক এটা সে চায় না। এমন কি প্রচণ্ড উদ্যম নিয়ে কিছু করতেও চায় না সে। এমন একজনের সাথে বাস করাটা কতোটা কঠিন একবার ভেবে দেখুন।

মৃন্ময়ী হ্যাঁ, ফারহান…আমরা সৌলমেট নই… তোমার-আমার কথা বলছি…দেখতেই পাচ্ছেন এমন একজনের সাথে থাকি যে এখন এবং সবসময়ের জন্যই মনে করে জীবন হলো সেকেন্ড গ্রেডের সিনেমার মতো। কোনো কিছুর পরিবর্তন ঘটুক এটা সে চায় না। এমন কি প্রচণ্ড উদ্যম নিয়ে কিছু করতেও চায় না সে। এমন একজনের সাথে বাস করাটা কতোটা কঠিন একবার ভেবে দেখুন।

 

প্রত্যয় উনাকে এসব বলে কোনো লাভ নেই। উনার কিচ্ছু যায়-আসে না এসবে।

 

মৃন্ময়ী আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে…পরিবর্তন আর উৎকর্ষের সম্ভাবনায় আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে।

 

প্রত্যয় পৃথিবীতে তুমি আর কোনো মানুষ খুঁজে পেলে না এসব বলার!

 

মৃন্ময়ী আমার যাকে খুশি তাকে বলবো, যাকে ইচ্ছা তাকে! (ফোন বেজে ওঠে)

 

প্রত্যয় আবার কে! ও হ্যাঁ মা…হ্যাঁ, হ্যাঁ, ও ভালো আছে। হ্যাঁ বলছি তো ঠিক আছে…দু’টো ভেঙেছে…কিন্তু ঠিক আছে। হ্যাঁ, ব্যথা আছে কিন্তু চিন্তার কিছু নেই ঠিক হয়ে যাবে…মা, একটু ঝামেলায় আছি…পরে ফোন করছি তোমাকে।

 

আনিকা এখনো ব্যথা আছে ওর?

 

মৃন্ময়ী নাহ্।

 

আনিকা তাহলে শুধু শুধু মাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন কেন আপনি?

 

মৃন্ময়ী এমনই করে সে সবসময়।

 

প্রত্যয় যথেষ্ট হয়েছে মৃন্ময়ী। কি হচ্ছে কি এসব। কেন করছো এই সাইকোড্রামা?

 

ফারহান আমরা নিজেদের ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলেছি কিছু? অবশ্যই এখানে যারা আছি মানে আমরা সবাই পরিবর্তন আর উৎকর্ষের সম্ভাবনায় বিশ্বাস করতে চাই। আর আমরাই এর কারিগর হতে পারতাম। যা করার আমাদের নিজেদেরই করতে হতো। কিন্তু এমন বিষয়ের কী কোনো অস্তিত্ব আছে? বলুন আছে কোনো অস্তিত্ব? জীবনে কিছু মানুষ পা ডুবিয়ে বসে থাকে। এটা তাদের স্ট্র্যাটেজি। আর অন্যরা সময় যে বয়ে যাচ্ছে তাই স্বীকার করতে চায় না, নিজেদের পাগল বানিয়ে ছেড়েছে ওরা। কিন্তু তাতে কার কি হয়েছে বলুন? মরে যাবার আগ পর্যন্ত মানুষ শুধু স্ট্রাগলই করে যায়। আর শিক্ষার কথা বলবেন! পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় দুঃখজনক বিষয় আর কিছু নেই। আপনি তো দারফুর ট্র্যাজেডি নিয়ে একটি বই লিখছিলেন, তাই না? ঠিক আছে, আসুন একটা ঝামেলা করি, কেমন? বলুন তো ইতিহাস আর কী কী জিনিস ধারণ করে আছে? আমি লিখে দিচ্ছি আপনি যা করেন তা আসলে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য করেন।

 

মৃন্ময়ী নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে আমি বই লিখছি না। আপনি তো পড়েও দেখেননি। কিছুই জানেন না এটা সম্পর্কে আপনি।

 

ফারহান একই কথা। আলাদা কিছু নয়। (থামে)

 

মৃন্ময়ী কুরসের কী বিশ্রী গন্ধ!

 

প্রত্যয় অসম্ভব বাজে গন্ধ।

 

ফারহান এই কাণ্ডটা তুমিই করেছো।

 

আনিকা আমি সত্যি স্যরি।

 

মৃন্ময়ী না, না, আপনার কোনো দোষ নেই। আমিই পাগলের মতো স্প্রে করেছি… যাই হোক আমরা আরেকটু হালকা চালে কথাটথা বলতে পারি। সবসময় সবকিছু নিয়ে এতো এক্সসটেড হতে হবে কেন আমি বুঝতে পারি না।

 

ফারহান আপনি আসলে খুব বেশি চিন্তা করেন। সব মেয়েরাই তাই করে।

 

আনিকা বেশি চিন্তা করি? আমি জানি না কি বোঝাতে চাইলেন আপনি। আর পৃথিবী সম্পর্কে নৈতিক কোনো ধারণা যদি নাই থাকে তাহলে বেঁচে থাকার অর্থই-বা কী?

 

প্রত্যয় দেখলেন। কী একটা মানুষের সাথে আমার বাস!

 

মৃন্ময়ী চুপ। একদম চুপ। তোমার সাথে থাকতে আমার ঘেন্না হয়। বিতৃষ্ণা ধরে গেছে আমার।

 

প্রত্যয় কাম অন। সেন্স অব হিউমার খাটাও একটু।

মৃন্ময়ী আমার কোনো সেন্স অব হিউমার নেই আর আমার দরকারও নেই।

 

প্রত্যয় সবসময়ই আমি যেটা বলি। ঈশ্বরের নেয়া পরীক্ষাগুলোর মধ্যে বিয়েই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন।

 

আনিকা গ্রেট।

 

প্রত্যয় হ্যাঁ, বিয়ে আর বাচ্চাকাচ্চা।

 

আনিকা আপনার এই মতাদর্শ দয়া করে নিজের মধ্যেই রাখুন। আমাদের জানানোর প্রয়োজন নেই, প্রত্যয়। ইন ফ্যাক্ট, এসব আমার কাছে খুব নেংরা লাগছে।

 

মৃন্ময়ী ওকে এসব বলে কোনো লাভ নেই। এসবে ওর কিছুই যায় আসে না।

 

প্রত্যয় তার মানে বলতে চাইছেন এসবের সাথে আপনি এগ্রি করেন না?

 

আনিকা এসব আমাদের আলোচনার বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়। কিছু বলো ফারহান।

 

ফারহান এগুলো উনার কথা। উনিই ভালো জানেন।

 

আনিকা হ্যাঁ, কিন্তু গলা ফাটিয়ে এখানে বলার তো কোনো দরকার নেই।

 

ফারহান কী বলবো…হ্যাঁ…বলতেই পারেন…

 

আনিকা তাঁদের বিয়ে নিয়ে আমাদের কিচ্ছু যায়-আসে না। আমরা এখানে এসেছি একটা সমস্যা সমাধান করতে। সমস্যাটা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে। উনাদের বিয়ে দিয়ে আমরা করবোটা কী?

 

ফারহান হ্যাঁ, কিন্তু…

 

আনিকা কিন্তু কী? বলো কিন্তু কী?

 

ফারহান …মানে এসবের সাথে একটা সম্পর্ক আছে।

 

প্রত্যয় হ্যাঁ, একটা সম্পর্ক আছে! অবশ্যই একটা সম্পর্ক আছে!

বাচ্চারা বেঁচে আছে কী করে বলুন? আমাদের জন্যই তো ওরা আছে, তাই না? আর আমাদের জীবনটা নষ্ট করছে ওরাই। কিনা করে ওরা আমাদের সাথে, হ্যাঁ, কিনা করে! ডিজেস্টার নামিয়ে আনে। আর এটা আটকানোর কোনো রাস্তাই নেই। ইট্স আনএভয়ডেবল। পিতৃত্ব আর মাতৃত্বের সাগরের হাবুডুবু খাওয়া ঐসব কাপলদের যখন দেখো তখন কি বলো নিজেকে, বলো কি বলো নিজেকে? তখন কি বলো না ওদের আসলে কোনো ধারণাই নেই বাচ্চাকাচ্চা ছাড়া জীবনটা কতো সুন্দর। কতো আনন্দে আছে সেটা ওরা জানেই না। যখন বাচ্চা নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে তখন কিন্তু কেউ ওদের কিচ্ছু জানায় না। আমার এক পুরোনো স্কুল বন্ধু ওর নতুন গার্লফ্রেন্ডের সাথে বাচ্চা নিতে যাচ্ছে। আমি ওকে বললাম, ‘এই বয়সে বাচ্চা নিচ্ছিস, পাগল নাকি তুই? আর মাত্র ১০/১২ বছর হয়তো ভালোভাবে বাঁচতে পারবি। এরপরই হয় ক্যান্সার না হয় স্ট্রোক হবে। আর এই সময়ে তুই এসব বাচ্চাকাচ্চার ঝামেলায় জড়াচ্ছিস?’

মৃন্ময়ী শৌনকের দাঁত ভাঙার সাথে আমাদের বিয়ের সম্পর্ক আছে?!

 

প্রত্যয় অবশ্যই আছে।

 

আনিকা আমরা সত্যিই কিছু বুঝতে পারছি না।

 

প্রত্যয় বাচ্চারা বেঁচে আছে কী করে বলুন? আমাদের জন্যই তো ওরা আছে, তাই না? আর আমাদের জীবনটা নষ্ট করছে ওরাই। কিনা করে ওরা আমাদের সাথে, হ্যাঁ, কিনা করে! ডিজেস্টার নামিয়ে আনে। আর এটা আটকানোর কোনো রাস্তাই নেই। ইট্স আনএভয়ডেবল। পিতৃত্ব আর মাতৃত্বের সাগরের হাবুডুবু খাওয়া ঐসব কাপলদের যখন দেখো তখন কি বলো নিজেকে, বলো কি বলো নিজেকে? তখন কি বলো না ওদের আসলে কোনো ধারণাই নেই বাচ্চাকাচ্চা ছাড়া জীবনটা কতো সুন্দর। কতো আনন্দে আছে সেটা ওরা জানেই না। যখন বাচ্চা নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে তখন কিন্তু কেউ ওদের কিচ্ছু জানায় না। আমার এক পুরোনো স্কুল বন্ধু ওর নতুন গার্লফ্রেন্ডের সাথে বাচ্চা নিতে যাচ্ছে। আমি ওকে বললাম, ‘এই বয়সে বাচ্চা নিচ্ছিস, পাগল নাকি তুই? আর মাত্র ১০/১২ বছর হয়তো ভালোভাবে বাঁচতে পারবি। এরপরই হয় ক্যান্সার না হয় স্ট্রোক হবে। আর এই সময়ে তুই এসব বাচ্চাকাচ্চার ঝামেলায় জড়াচ্ছিস?’

 

আনিকা আপনি যা বলছেন তা নিশ্চয়ই বিশ্বাস করেন না, করেন কি?

 

মৃন্ময়ী অবশ্যই ও বিশ্বাস করে।

 

প্রত্যয় অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি। ইভেন এরচেয়ে খারাপ কিছুই আমি বিশ্বাস করি।

 

মৃন্ময়ী বললাম না।

 

আনিকা আপনার কথার সাথে কাজের কোনো মিল নেই, প্রত্যয়।

 

প্রত্যয় তাই কি? হাহাহাহাহা!

(চলবে)

পড়ুন ।। কিস্তি ৪

মৃত্যুদেবতা : ৪

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here