যখন ফুটিল কমল ।। কিস্তি : ২

পল ক্লী

শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক — বায়োগ্রাফিক্যাল ফিকশন বা আত্মজৈবনিক কথাসাহিত্য — যখন ফুটিল কমল। লেখার পরিণতি কী দাঁড়াবে লেখক নিজেই তা ভালো বলতে পারবেন। জাহিদুর রহিম চমৎকার গদ্যে উপহার দিয়েছেন জীবন ও দর্শনের মৌলিক প্রশ্ন ও উত্তর।

 

দুই

মনে মনে বহুদূর চলে গেছি –

যেখান থেকে ফিরতে হলে আরো একবার জন্মাতে হয়

জন্মেই হাঁটতে হয়

হাঁটতে-হাঁটতে হাঁটতে-হাঁটতে

একসময় যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানে পৌঁছুতে পারি।

— শক্তি চট্টোপাধ্যায়

গ্যেটের মৃত্যু হয়েছিলো ১৮৩২ সালে। ষোলই মার্চ সকালে নাশতা সেরে কবি শুয়ে ছিলেন। তার ঠান্ডা লেগেছে। ডাক্তার এসে দেখে গেছেন। পরদিন তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক দেখালো। সেক্রেটারিকে ডেকে একটা লম্বা চিঠিও লেখালেন। কিন্তু উনিশ তারিখে আবার শরীর খারাপ হলো। বাইশ তারিখ ভোরবেলায় গ্যেটে তার পাঠকক্ষে বসে কাজের লোকটিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, আজ কত তারিখ? ভৃত্য জবাব দিলেন, বাইশ।

 

গ্যেটে বললেন, তাহলে তো বসন্ত এসে গেছে। আমি এবার সেরে উঠব, কী বলো? ন’টার পর শয্যা ত্যাগ করে কবি খাটের পাশে রাখা ইজি চেয়ারটায় এসে বসলেন। কেমন যেন ঘুম ঘুম লাগছে। আধো ঘুমে নির্দেশ দিলেন, ‘জানালাগুলো খুলে দাও। আলো, আরো আলো’।

 

এই বিখ্যাত উক্তি উচ্চারণের পর কবি কেমন যেন ভুল বলতে লাগলেন। কথা বোঝা যায় না। ঘড়ির কাঁটা দুপুর বারটায় পৌঁছুলে গ্যেটে ইজিচেয়ারের উপরেই গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়েন। বাড়ির সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে চেয়ারের চারপাশ। সেবিকা ঠোঁটের উপর আঙুল রেখে সবাইকে চুপ থাকার নির্দেশ দিলেন। কবি ঘুমিয়ে পড়লেন। আর জাগেন নি। তিনি সেরে উঠলেন তার সমস্ত রোগ থেকে যা তিনি ছোটবেলা থেকে বয়ে বেড়াচ্ছেন। গেট্যে জানতেন এভাবেই বসন্ত আসে জীবনে সবার একবার। একবারই।

 

কীভাবে বাস করা উচিৎ, জীবনে কী চাই, কী হতে পারে আমার আকাঙ্ক্ষা, মানুষ কি সত্যি এসব প্রশ্নের উত্তর জানে? নাকি জানার পথে মাঝপথে সে কোনো একটা আয়েশী জীবনে অভ্যস্ততার দেয়ালে আশ্রয় খোঁজে। আমি তো মনে করি বাস করলে এমন কোথাও মানুষের বাস করা উচিৎ চাইলে যেন মুহূর্তে তা ভেঙে দেয়া যায়, মুহূর্তেই। আমি যে বড় কোনো রাজপ্রাসাদে থাকতে চাই না, কোনো মহিমাময় বিকট অট্টালিকা যে অপছন্দ করি এর কারণ এই নয় যে, প্রাসাদ আর প্রাসাদের অফুরন্ত বিনোদনে আমার মন মজে না, মজে তো বটেই। হয়তো আপনাদের চেয়ে বেশি মজে। আমি খুব উপভোগ করতে পারি সব কিছু, প্রতি দিন প্রতি রাত। প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে আশ্চর্য এক নির্মাণ।

 

আমি প্রাসাদে থাকতে চাইনা এজন্যই যে, প্রাসাদ খুব সহজে ভেঙে ফেলা যায় না। প্রাসাদ গড়তে যেই শ্রম আর কষ্ট, ভাঙার হ্যাপাও কম নয়। কিন্তু ধরুন, আমি যদি প্রশ্ন করি জীবনের উদ্দেশ্য কী? জানি একটু বড় হয়ে গেলো এই প্রশ্ন, আর আপনি আকাশ থেকেই পড়বেন এটা শুনে, ভাববেন এটা জানলে তো আপনি নিজেই সক্রেতিস হয়ে যেতেন।

 

তবে আমি প্রশ্নটা আরেকটু গুছিয়ে করি। এই যে জীবন, যেখানে মৃত্যু আপনার পরিণতি, সেখানে আপনি জীবন কাটানোর জন্য কেমন আশ্রয় পছন্দ করেন? এই প্রশ্নের আমার তরফের উত্তর আমি বলেছি, সেটা যে প্রাসাদ নয় তা বলেছি, কেন নয় তাও বলেছি।

 

আসলে আমার দরকার রোদ বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচানোর জন্য একটু আশ্রয়, একটা ছোট খুপরি। আর মাঝে মাঝে আমার এই চিন্তাকে আমি নিজেই চ্যালেঞ্জ করি। আমি যদি না মেনে নেই জীবনের এমন লক্ষ্য, যদি কেবল মনে করি জীবনে বাস করতে হলে প্রাসাদেই বাস করা উচিৎ, তাহলে সেটাই হবে আমার পছন্দ। আর এই পছন্দ আমার জীবনের আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নগুলোকেও বদলে দিতে পারে।

 

আমি জানি আমি যদি সদম্ভে ঘোষণা দেই, ‘শেয়ালের মতো গর্তে থাকার জন্য মানুষের জন্ম হয় নি, আমি প্রাসাদের মধ্যেই জীবন কাটাতে চাই, আপনারা জিব কেটে মাথা নেড়ে আদর্শ, সাম্য, ভোগ ইত্যাদি কতগুলো শব্দ, যেগুলোর অর্থ আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারেন না আর বিশ্বাস করেন না, তাই বলবেন। কিন্তু আমার পছন্দকে যদি তার চেয়ে উন্নত কোনো পছন্দের আদর্শে আপনারা পাল্টে দিতে না পারেন, আমি কেন ফিরে যাব আমার পছন্দের প্রাসাদ থেকে? কোন গরিব লোকও ছোট এক বাড়ির স্বপ্ন দেখে না, রাস্তায় ছেঁড়া কাথায় শুয়েও মানুষ লাখ টাকার স্বপ্নই দেখে। আর এসব দেখাই প্রাকৃতিক। 

 

আমি যে নির্দ্বিধায় এসব কথা এই আপনাদের সামনে স্বীকার করছি তার কারণ আমি ভণ্ডামি করে বাঁচতে চাই না আপনাদের মতো। আমার এই বেঁচে থাকা এই ক্ষোভময় জীবন আমি অনিচ্ছায় কাটাবো, তবু আমি জানাতে চাই আমার পছন্দ আসলে কীসে। প্রতিটি মানুষের কিছু গোপন কথা থাকে যা তার যাপিত জীবনের ঘটনাগুলো নির্বিশেষ নৈর্ব্যক্তিকভাবে তুলে ধরে। মানুষ এসব সবাইকে বলতে পারে না। বলে তার একান্ত বন্ধুদের। আবার এমন অনেক কথা তার বন্ধুদেরও সে হয়ত বলতে পারে না। এমনকি জীবন সম্পর্কে এমন অনেক ধারণা আছে যেগুলো মানুষ তার নিজে কাছেও তুলে ধরতে ভয় পায়। কারণ তা মানুষের নিস্তরঙ্গ এই জীবনের ঘটনাগুলোকে পানির মতো করে কেটে ফেলে। জীবনের নানান ক্ষেত্রে যে পছন্দ-অপছন্দ তা এমন এক জড় বোধ তৈরি করে যে এর বিপরীত কোন কিছু আমরা ভাবতেই পারি না।

 

যেমন আমার এই লেখালেখির প্রসঙ্গেই বলি কিছু কথা। আমার খুব আপন খুব কাছের মানুষ, যারা শেষ পর্যন্ত আমাকে ক্ষমা করে আর ভালোবাসে, কেন বাসে তাও জানি না, হয়তো তাঁরাও জানেন না, তাঁদের জীবনের অনেক কিছু না জানার মতো, তাঁরা ব্যাতীত চারপাশের লোকজন আমাকে খুব নাক উঁচু, অহংকারী আর বদরাগী স্বভাবের ভাবে। ভাবে আমি নীরস, সর্বদা সিরিয়াস আর এক জড় পাথরের মতো আমার সব চিন্তাকে দুইহাতে আঁকড়ে ধরে বসে থাকি। কিন্তু আমার রব সাক্ষী এর বেশির ভাগই ভুল।

 

আমিও ভালোবাসি, হাসি আর মজা করি। আর এটা তারাই সাক্ষী দিবে যারা অন্তত একবার আমার সাথে জীবনের চেনা গণ্ডির বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছে। তবে আমি হঠাৎ রেগে যাই, খুব দ্রুত রেগে যাই আর সেই রাগ দ্রুত চলেও যায়। কিন্তু একটা বিষয় সত্য আমি অহংকারী কেবল আমার লেখার ক্ষেত্রে। যেমন আমি ভাবি খুব কম মানুষ আমার লেখাপড়ার যোগ্য।

 

এ পর্যন্ত পড়ে আপনারা হয়তো প্রশ্ন করে বসবেন তাহলে লেখেন কেন, না লিখলেই তো হয়। নিজের চিন্তা নিজের মধ্যেই রেখে দিলেই তো ভালো হয়। বা প্রশ্ন করতেই পারেন যে লেখার সময় আমি কল্পনায় কোন পাঠকের মুখ ভেবে লিখি।

 

এর সরল উত্তর হচ্ছে, আমি আসলে আমার জন্যই লিখি, আমার চিন্তাকে স্বচ্ছ করার জন্যই লিখি, লিখি আমার যাপিত জীবনকে আরও ভালো করে বুঝে নিতে। আমি দেখেছি লিখতে লিখতে অনেক সময় আমি আমার চিন্তার নতুন কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাই।

 

লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি কোনো একক পাঠক কল্পনা করি না। আমি যদি কারো উদ্দেশ্যেই লিখে থাকি সেটা মানুষ, যেহেতু মানব জাতির বাইরে বই পড়ার মতো কারো সাথে আমার পরিচয় ঘটে নাই এখনো। আমি এক সাথে বিশাল জনতার মুখ কল্পনা করে লিখি, যদিও জানি এই জনতা নির্বোধ।

 

আমার লেখার আরেকটি কারণও আছে। কিছু কথা সারাক্ষণ বিরক্তিকর গানের সুরের মতো আমার মনে ঘুরে বেড়ায়, যেই গানের শুরুর লাইন আমি যেন কিছুতেই মনে করতে পারছি না। এটা এক ভয়ংকর মনঃযন্ত্রণা, এক নির্যাতন। আমি অনেক সময় শারীরিকভাবেও কাতর হয়ে পড়ি এই যন্ত্রণায়। আমি দেখেছি এই সুরের অনুসরণে আমি কিছু লিখতে শুরু করলেই যেন বেঁচে যাই। কষ্ট আর যন্ত্রণা কমে। তাছাড়া আমি যেহেতু অলস মানুষ, যেটাকে আপনারা কেউ প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখেন না, এমনকি আমার বন্ধুরাও না, সেই আলস্যকে মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য এটা ভালো উপায়। যেন এই লেখালেখি করার অজুহাত আমার অন্য ব্যর্থতাকে মানুষের চোখে সহজ করে দিবে। যেন আমি ব্যর্থ হলেও সৎ আর মহৎ মনের মানুষ। বলতে পারেন এটা এক ছদ্মবেশ। মানুষের সমাজে বাস করতে হলে এই ছদ্মবেশের দরকার আছে, এটা আপনারাও অস্বীকার করবেন না নিশ্চয়। যেমন অস্বীকার করেন নি কার্ল মার্ক্স।

 

মার্ক্স প্রচুর পড়াশোনা করতেন। তিনি প্রায় সব কটি ইউরোপীয় ভাষা পড়তে পারতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি কবিতা মুখস্থ আওরে যেতে পারতেন। ইস্কাইলাস, শেকসপিয়ার, গ্যেটে, পুশকিন, হাইনে, দান্তে এবং রবার্ট বার্নসের কবিতা ছিল তাঁর প্রিয়। ছাত্রজীবনে তিনি নিজেও অনেক কবিতা লিখেছেন। মার্ক্স স্কুলের শেষ পরীক্ষায় একটি রচনা লিখেছিলেন। এটা ১৮৩৫ সালের আগস্ট মাসের কথা। রচনার শিরোনাম ছিল ‘রিফ্লেকশনস অব আ ইয়াং ম্যান অন দ্য চয়েস অব আ প্রফেশন’। অর্থাৎ একজন তরুণ পেশা নির্বাচন করবে কীভাবে।

 

তিনি লিখলেন, ‘জীবের যাবতীয় কর্মকাণ্ড প্রকৃতি দ্বারা নির্ধারিত, একটি পশু এই গণ্ডির ভেতরে থেকেই নড়াচড়া করে। বেরোনোর চেষ্টা করে না। মানুষও তেমনি ঈশ্বরের দেওয়া একটা লক্ষ্য সামনে রেখে নিজেকে পরিচালনা করে। মানুষ কীভাবে এই লক্ষ্যে পৌঁছাবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং কার্যক্রম চালানোর এখতিয়ার মানুষেরই। এ ক্ষমতা ঈশ্বর মানুষের হাতেই তুলে দিয়েছেন। সমাজে কোন স্থানটি তার জন্য যথাযথ, কীভাবে সে নিজেকে এবং গোটা সমাজকে উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব ঈশ্বর মানুষকেই দিয়েছেন। পথ বেছে নেওয়ার ক্ষমতা মানুষকে জীবজগতের অন্যান্য প্রজাতি  থেকে আলাদা করেছে।

 

 এটা এমন একটা সুবিধা বা ক্ষমতা, যা কিনা মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে, তার সব পরিকল্পনা নষ্ট করে দিতে পারে, নির্বাসিত করে দিতে পারে তার সব সুখ। এই পথ ও পদ্ধতি নির্বাচন করার ক্ষমতা মানুষ তার পেশাগত জীবনের শুরুতেই দৈবের ওপর ছেড়ে দিতে পারে না।…শুধু নিজের জন্য যে বাঁচে, সে হয়তো ব্যক্তিগত খ্যাতি অর্জন করতে পারে। একজন পণ্ডিত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে। হতে পারে একজন চমৎকার কবি। কিন্তু কখনোই সে একজন মহৎ মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। সাধারণের কল্যাণের জন্য যিনি নিবেদিতপ্রাণ, তিনিই মহাত্মা। তিনিই সবচেয়ে সুখী, যিনি সবচেয়ে বেশি মানুষকে সুখী করতে পেরেছেন। ধর্ম আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে মানবজাতির জন্য যার ত্যাগ বেশি, তিনিই আদর্শ, অনুসরণযোগ্য।’

 

কিন্তু যারা সাধারণ আত্মসর্বস্ব মানুষ তাঁরাও তো বেঁচে থাকে। এবং বেঁচে থাকতে হয় মহৎ আর সুখের বিভ্রম ছদ্মবেশের আড়ালেই। যেমন কাফকা বলছেন, ‘যে মানুষ একটা জানালার পাশে নিঃসঙ্গ সময় কাটাচ্ছে, চাচ্ছে যে কারো সঙ্গে তার পরিচয় ঘটুক। একটা চাকরি পরিবর্তন, আবহাওয়া বা পরিবেশ — এই ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়ে সে চাচ্ছে আঁকড়ে ধরার মতোন একটা  কিছুর। এই ব্যাক্তি, যে জানালার পাশে নিঃসঙ্গ সময় কাটাচ্ছে, সে আসলে বেঁচে থাকতে পারতো না তার রাস্তার পাশের এই নিঃসঙ্গ জানালাটাও যদি না থাকতো’।

 

কিন্তু হতে পারে সে আসলে কোন কিছুই চাচ্ছে না। জানালার পাশে এমনিতেই দাঁড়িয়ে থাকে। ক্লান্ত একজন মানুষ। বিক্ষিপ্তভাবে তার চোখ রাস্তার উপর নিচে চলে যায় তাও নিতান্তই অনিচ্ছায় অনেক কিছুতেই। কিন্তু তবুও রাস্তার ওই ঘোড়াগাড়িগুলো যখন যায়, তখন সেগুলো তাকে টেনে নিয়ে যায় সেই হট্টগোলের মধ্যে, মানুষের সঙ্গে একাত্মতার ভিতর। এই যে এই মিছে বিচরণ, মানুষের ভিতরে এই কাল্পনিক একাত্মতা, সেই জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, এই মিথ্যা ভাবনাই তাকে বাঁচিয়ে রাখে।

 

জীবন কি সত্যি এতো জটিল, এতো তত্ত্ব এতো হিসেব আর মনস্তত্ব দিয়ে বুঝতে হবে এমন কিছু? কনফুসিয়াস তো বলেছিলেন, ‘জীবন খুব সরল, আমরা মানুষেরা অনেক কষ্টে একে জটিল বানাই’। কথাটি কি ভুল? কী লাগে বেঁচে থাকতে। সাহিত্য, দর্শন আর বই এও কি জুলুম হয়ে যায় না যদি মানুষের নিজের ঘরে থাকার মতো ছোট এক জায়গা না থাকে।

 

কী অপূর্ব করে উইল ডুরান্ট লিখেছিলেন, ‘জীবন সাহিত্যের চেয়ে উত্তম, বন্ধুত্ব দর্শনের চেয়ে মিষ্টি আর শিশুদের হাসি যেকোনো সুমধুর সঙ্গীতের চেয়ে অনেক বেশি মর্মস্পর্শী! আমাদের চারপাশের এই সব জীবন্ত সুন্দর বিনয়ী ও সুশোভিত জীবনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু মানুষ যেহেতু খোঁজে দুর্বোধ্য বিকল্প , তাই তাঁর প্রয়োজন বই।”(দ্যা গ্রেটেস্ট মাইন্ড অফ অল টাইম)

সবার জীবনেই বসন্ত তো আসেই একবার।

আগের লেখালোহার দড়ি
পরের লেখাএ্যা-র সর্বনাশা প্রকোপ
জাহিদুর রহিম
কবি, গদ্যকার ও অনুবাদক। মননে ও মস্তিষ্কে দার্শনিক। চমৎকার অনুভূতিপ্রবণ ও যৌক্তিক সংবেদনশীলতা তাঁর লেখার প্রধান প্রবণতা। অনেকগুলো বই বেরিয়েছে। সম্প্রতি বেরিয়েছে কাহলিল জিবরানের ‘‘দ্যা প্রফেটে’’র বাংলা অনুবাদ।

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here