সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দেখছিলাম। করোনা-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণোপলক্ষে মানুষের ঘরের বাহির হওয়া বারণ। এবং যারা বেরোচ্ছে তাদের ধরে ধরে বেধড়ক পেটাচ্ছে পুলিশ। কারণ, যারা বেরোচ্ছে তারা ‘নিজ’-এ ভাইরাসাক্রান্ত হতে পারে। এবং সেই ভাইরাস তারা ছড়িয়ে দিতে পারে ‘পর’-এর মধ্যে। পরের সঙ্গে ‘নিজ’-এর এমন প্রত্যক্ষ ও গভীর যোগাযোগ, ইতিহাসে এর-আগে, মানুষ কখনো উপলব্ধি করেছিল কিনা! এই জিজ্ঞাসা তীর্যক হলেও এর কার্যকারিতা, নিঃসন্দেহে বহুমাত্রিক। ব্যক্তিসর্বস্ব এই পুঁজিবাদী উৎপাদন-ব্যবস্থায় পরকে বাঁচানোর এমন বেদম আগ্রহ কম স্ববিরোধী নয়। কেননা, পরকে ধ্বংস করার শর্তেই এই ব্যবস্থা টিকে থাকে। ফলে, বুর্জোয়া সংস্কৃতির এমন নাজেহাল দশায় ‘আত্মকে রক্ষা করতে গিয়ে এই ‘আত্ম’কে নিয়ে বড়ই প্যাঁচে পড়তে হয়। কতটুকু এই আত্মের সীমানা? কতটুকু পরিসর নিরাপদ রাখার শর্তে ‘নিজ’কে রক্ষা করা সম্ভব? মানুষ পরিচয়ের পরিসীমাই বা কত? বরাবর এই সকল পচা প্রশ্নে চিন্তা ক্ষত হয়।
আমাদের চোখের সামনে এক-হাতে লাঠি উচিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে যে প্রাণিটা আমরা কেন তাকে ‘মানুষ’ বলব! বা তার কোন অংশটাকে আমরা বলব মানুষ! খণ্ডিত হাত-পাগুলো কি তার সম্পূর্ণ পরিচয় বহন করবে! অথবা তার পা থেকে মাথার কোন খণ্ডিতাংশকে আমরা তার পরিচয় বলে গ্রহণ করতে পারি! উত্তর আসবে, কোনো খণ্ডিতাঙ্গই প্রাণিটার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে সক্ষম নয়। অর্থাৎ সবটা মিলেই তার পরিচয়। এই ‘সবটা’র পরিধি জানাও জরুরি। এই ‘সবটা’র ভেতরে কি পিটনা খাওয়া প্রাণিটাও পড়বে! আসমান (বায়ুমণ্ডল) ও জমিনও কি মানুষ পরিচয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে না? যে-জমিন প্রাণিটাকে ঠাঁই দিয়ে রেখেছে! যে আসমানের সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে তার শ্বসন-ক্রিয়া! তাহলে, ঠিক কোন মাপটাকে আমরা ‘মানুষ’ বলে জানি?
আসলেই কি মানুষ চেনার এমন কোনো কাটছাট করা সীমানা রয়েছে? আমরা কি বলতে পারব, ঠিক কতটুকু হলেই মানুষ বলে চিহ্নিত করা চলে? অথবা মানুষের পরিচয় নির্ধারণ করতে গিয়ে ঠিক কোথায় এসে ছেদ টানবো আমরা? একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত সমগ্র মহাবিশ্বটাই কি তবে মানুষ? আমরা যেমন মনেকরি, মানুষের সংজ্ঞার্থ কি সত্যিই সর্বজনীন? পৃথিবীর সকল মানুষ কি ধারণাগতভাবে সত্যিই একই ছাতার তলে দণ্ডায়মান? জীবন বিকাশের সকল স্তরেই কি অনুরূপ-মানুষের ধারণা থাকা সম্ভব? নিছক দার্শনিক জিজ্ঞাসা এগুলো নয়। প্রশ্নগুলো বরং মানুষের যাপিত জীবনের জটিল রূপ উন্মোচনে হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা চলে। এর দ্বারা মানুষের অমানবিক জীবনের অন্তর্নিহিত সূত্রাবলি আবিষ্কার করা অসম্ভব নয়।
যে প্রাণিটার উল্লেখ আমরা শুরুতেই করেছি। হাত উঁচিয়ে বেধড়ক পেটানোর জন্য – আমাদের চোখের সামনে আগে তো তাকে – তার শরীরী অস্তিত্বটাকে অন্তত টিকিয়ে রাখতে হবে। ফলে আমাদের কাছে তার অস্তিত্বের প্রারম্ভিক শর্তই হবে তার সেই জীবন্ত শরীর। তাহলে বৈজ্ঞানিকভাবে, অর্থাৎ কোনো পূর্বানুমান ছাড়াই, মানুষ নিয়ে ভাবতে গেলে কোত্থেকে শুরু করব আমরা? ঠিক এখান থেকেই, বর্তমান আলোচনায়, মার্কস আমাদের সঙ্গ দিতে শুরু করেন। যেহেতু, তরুণ বয়সে নিজের চিন্তার কাঠামো নির্ধারণ করতে গিয়ে তাকেও অনুরূপ পর্যালোচনায় শামিল হতে হয়েছিল। এবং তা করতে হয়েছিল, সেই সময়ে বিদ্যমান চিন্তাপ্রক্রিয়ার অসাড়তার কারণেই। মার্কসের অভিযোগ ছিল :
Political Economy proceeds from the fact of private property, but it does not explain it to us. …Do not let us go back to a fictitious primordial condition as the political economist does, when he tries to explain. Such primordial condition explains nothing. He merely pushes the question away into a grey nebulous distance. …Theology in the same way explains the origin of evil by the fall of man: that is, it assumes as a fact, in historical form, what has to be explained. (Marx, 2007 : 58-59)
অর্থাৎ মানুষের পরিচয় নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে ‘মানুষ’ ধারণাটিকে আমরা আগে থাকতেই অনুমান করে নিতে অভ্যস্ত। যদি জানতে চাওয়া হয়, মানুষ কী? দেখা গেছে, মানুষকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমরা তখন গালগপ্প ফেঁদে বসেছি। এবং সেই গালগপ্পকেই সাব্যস্ত করেছি মানুষের প্রকৃত ইতিহাস হিসেবে। বেধড়ক মারধর করা যে প্রাণিটার উল্লেখ আমরা করছি, দেখা যায় তার সম্পর্কে আগে থাকতেই আমরা ধারণা করে বসি যে, সে একজন মানুষ। সে কীভাবে মানুষ, তা ব্যাখ্যা না করেই। তার বৈশিষ্ট্যাবলিকে আমরা (যেমন – কথা বলা, চিন্তা করা, মারপিট করা ইত্যাদি) মানবিক বৈশিষ্ট্য বলে দাবি করতে থাকি। যার ফলে, মানুষের পরিচয় ও তার সামগ্রিক তৎপরতা বরাবরের মত রহস্যাবৃতই রয়ে যায়। তাহলে মার্কস শুরু করেছেন কোত্থেকে? ১৮৪৫ সালের দিকে সমকালীন জার্মান দর্শন পর্যালোচনা করতে গিয়ে মার্কস ও এঙ্গেলস এই প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন :
The premises from which we begin are not arbitrary ones, not dogmas, but real premises from which abstraction can only be made in the imagination. They are the real individuals, their activity and the material conditions of their life, both those which they find already existing and those produced by their activity. These premises can thus be verified in a purely empirical way.
The first premise of all human history is, of course, the existence of living human individuals. Thus the first fact to be established is the physical organization of these individuals and their consequent relation to the rest of nature. (Marx & Engels, 2010 : 31)
ফলে, কোনো প্রকার পূর্বানুমান ব্যতিরেকে, ইতিহাস বোঝাপড়া করতে গেলে; অর্থাৎ, ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যা নির্মাণের ক্ষেত্রে, মানুষ সম্পর্কিত যাবতীয় পর্যালোচনার ভিত্তিভূমি হয় তার দেহগত সত্তা। যে সত্তাকে কেন্দ্রে রেখেই যতসব আজগুবি কল্পনাকেও রূপলাভ করতে হয়। মার্কস ও এঙ্গেলস উপর্যুক্ত প্রসঙ্গে তাদের আলোচনার শিরোনাম নির্ধারণ করেছিলেন : Premises of The Materialist Conception of History| অর্থাৎ, মানুষ বিষয়ক সকল গালপপ্পেরই পাটাতন হল : গায়ে-গতরে টিকে থাকা তার শরীরী অস্তিত্ব। নিঃসন্দেহে – চিন্তা করা, কথা বলা ও খাওয়া-পরা ইত্যাদি – যাবতীয় উৎপাদন-পুনরুৎপাদনের জন্যই দেহগত সত্তাটিকে আগে অন্তত টিকে থাকতে হয়।
এবার আলোচনার শুরুতেই উত্থাপন করা প্রশ্নগুলোকে আমরা স্মরণ করতে পারি। আমরা বুঝতে চেয়েছি প্রাণি থেকে স্বতন্ত্ররূপে মানুষের পরিচয় নির্ধারণের শর্ত। অর্থাৎ, দেহধারী এই জীবটি কোন বৈশিষ্ট্যের জোরে প্রাণিজগৎ থেকে নিজেকে আলাদা করে মানুষ ভাবা শুরু করেছিল? এক্ষেত্রে জার্মান ভাবাদর্শ গ্রন্থের লেখকদের সরাসরি একটি বিবৃতি রয়েছে : The first historical act of these individuals distinguishing them from animals is not that they think, but that they begin to produce their means of subsistence. (Marx & Engels, 2010 : 31) পাণ্ডুলিপিতে এই অংশটুকু লিখে কাটা দাগ দেওয়া ছিল। যদিও একটু পরেই তারা লিখছেন : Men can be distinguished from animals by consciousness, by religion or anything else you like. They themselves begin to distinguish themselves from animals as soon as they begin to produce their means of subsistence, a step which is conditioned by their physical organisation. (Marx & Engels, 2010 : 31)
এখানে একটা প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক। এবং তা দরকারিও বটে। তাহলে, মানুষ কি কেবল তার শরীরী অস্তিত্বটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ? তার কাছে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ কি কেবল স্থূল দেহটারই উৎপাদন-পুনরুৎপাদন অব্যাহত রাখা? এখানেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠছে আমাদের উত্থাপিত সেই প্রশ্নটি Ñ বিশ^জগতের বাসিন্দা হিসেবে মানুষকে বুঝতে গিয়ে কোথায়, কোন পরিচ্ছেদ শেষে দাঁড়ি দিব আমরা? বা কতটুকু পরিধিতে মানুষকে জেনে নেওয়া সম্ভব! দাঁড়ি দেওয়ার সুযোগ এখানে নেই। কারণ, মানুষ তার চারপাশের জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।জগৎকে যেমন সে নির্মাণ করে। তেমনি জগৎ নির্মাণ করে তাকে। যুগপৎ এই ক্রিয়া। ফলে, সুযোগ নেই মানুষকে কোনো মার্জিনে আটকে ফেলার। যে পুলিশ পেটায় আর যে সাধারণ লোকটা পিটনা খায়, তারা পরস্পর সম্পর্কিত। বুর্জোয়া ভাবধারায় এতোদিন এই সম্পর্ককে নানাভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। কারণ, এই অস্বীকারের মধ্যে ফায়দা আছে। পরের হক এতে সহজেই মেরে দেওয়া চলে আইনি কায়দায়। এই কথাগুলোই মার্কস বলছিলেন, বহু আগে থেকেই। অর্থাৎ, নিজেকে জারি রাখতে গিয়ে মানুষ প্রকাশ করে তার সমগ্র জীবনটাকেই। দেহগত সত্তার মধ্যে যে জীবন গণ্ডিবদ্ধ নয়। জার্মান ভাবাদর্শ গ্রন্থের লেখকেরা এ-ব্যাপারে সতর্ক করেছেন আমাদের :
This mode of production must not be considered simply as being the reproduction of the physical existence of the individuals. Rather it is a definite form of activity of these individuals, a definite form of expressing their life, a definite mode of life on their part. As individuals express their life, so they are. What they are, therefore, coincides with their production, both with what they produce and with how they produce. Hence what individuals are depends on the material conditions of their production. (Marx & Engels, 2010 : 31)
অর্থাৎ, মানুষের নিজেকে জারি রাখার প্রক্রিয়াটিকে স্থূল অর্থে নেওয়া যাবে না। কেননা, সে কেবল নিজেকেই উৎপাদন করে না। নিজেকে উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে অপরকেও সে উৎপাদন করে। সে উৎপাদন করে নিজ-পর উভয়ের বেঁচে থাকার, জীবনোৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার, যাবতীয় শর্ত। এই শর্তাবলি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য – তার দেহেরই অংশবিশেষ। হাত-পা-নাক-চোখ-মুখ যেমন সম্মিলিতভাবে মানুষের দেহটাকে সংগঠিত করে তোলে। তেমনি, দেহের বাইরে বিদ্যমান প্রকৃতির সঙ্গে যুগপৎ লেনদেনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে পূর্ণাঙ্গ মানুষ।
দেহগত একক-মানুষ তার নিজের সাপেক্ষে প্রকৃতির বাদবাকি সকল কিছুকে যেমন অপর জ্ঞান করে। তেমনি সে নিজেও কিন্তু, আরেকজনের সাপেক্ষে অপর। এবং নিজের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহের মত বাইরের এই জগতটির উপরেও মানুষ সমান পরিমাণ নির্ভরশীল। মার্কস এই দাবি করছেন। এবং তার দাবি অযৌক্তিক নয়। ‘পর’কে তিনি চিহ্নিত করছেন ‘নিজ’-এরই শরীর হিসেবে। বলছেন, অজৈব শরীর। এই ‘নিজ’ হল, প্রতিটি মানুষেরই দেহগত সত্তা। বাদবাকি সবকিছু তার ‘পর’। প্রকৃতিকে মার্কস বলছেন – মানুষের অজৈব শরীর। তার কলমে : Nature is man’s inorganic body—nature, that is, in so far as it is not itself the human body. Man lives on nature—means that nature is his body, with which he must remain in continuous intercourse if he is not to die. (Marx, 2007 : 63)
ফলে, মানুষের অস্তিত্ব কেবল তার জৈব দেহটাকে আশ্রয় করেই নয়। জৈব দেহটাকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে, তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, দেহবহির্ভুত অজৈব দেহটাকেও। আগেই বলা হয়েছে, এই অজৈব দেহ পরিগঠিত হয় দেহগত-একক-মানুষের বাইরের সমস্ত সত্তা নিয়ে। বাদবাকিকে নিয়ে। পরকে নিয়ে। প্রকৃতি পরিচয়ের মধ্যে মার্কস অন্তর্ভুক্ত করছেন : দেহগত একক হিসেবে যা কিছু থেকে সে পৃথক সেই সমস্ত কিছুকে। এই অজৈব শরীরের অন্তর্গত হয়ে পড়ে কোনো স্থানের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যাবলি। উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণসমূহ। অর্থাৎ, মানুষের জীবন উৎপাদন-পুনরুৎপাদনের ক্ষেত্রটি অরণ্য বা মরুভূমি হতে পারে। তা হতে পারে নদী-তীরবর্তী কোনো অঞ্চল বা কোনো দ্বীপ। এই সকল বৈশিষ্ট্য তার অজৈব শরীর গঠন করবে। যে দেহ ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। অব্যাহত রাখতে অপারগ তার ‘নিজ’ জীবনেরই পুনরুৎপাদন ক্রিয়া। মার্কসকে এখানে একজন পরিবেশবাদী হিসেবে কত অনায়াসে পাঠ করা যায়। সে অবশ্য আলাদা আলোচনা।
সুতরাং, মানুষ তার জৈব দেহের পাশাপাশি ধারণ করে অজৈব আরেক দেহ। যা জৈব দেহটাকে টিকিয়ে রাখে। মানুষের কোনো বিচ্ছিন্ন সত্তা নেই। ফলে, অজৈব দেহের সঙ্গে তার জৈব দেহের কোনোপ্রকার জোরপূর্ক বিচ্ছিন্নতাই মানুষের অমানবিক জীবনের শর্ত তৈরি করে। এটি শুধুমাত্র রোগবালাই বা অসুখবিসুখের ব্যাপার মাত্র নয়। এটি মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, অর্থাৎ, সমগ্র জীবন-ক্রিয়ারই ঘটনা। অজৈব দেহের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা তার জৈব দেহ সংরক্ষণেরই অপরিহার্য অংশ। অজৈব দেহ সংক্রমিত হলে জৈব দেহ ধ্বংসের পথ প্রসারিত হবেই। আর্থনীতিক ক্ষেত্রেও তাই। বুর্জোয়া-চিন্তার স্ববিরোধীতা এখানেই। বুর্জোয়া-চিন্তা ব্যক্তিসর্বস্ব। তা নির্ধারণ করে ব্যক্তির ভুল পরিধি। নিজকে রক্ষা করতে গিয়ে পরকে অরক্ষিত রাখাটাই বুর্জোয়া চিন্তার মৌল বৈশিষ্ট্য। বুর্জোয়া-চিন্তার এই ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য করোনা-পরিস্থিতি একটি প্রায়োগিক ক্ষেত্র মাত্র। তাই, করোনাকালীন এই পরিস্থিতিতে মার্কসের তরুণ বয়সের চিন্তাগুলোকে সহজেই মিলিয়ে পড়া গেল। মার্কসের এই পর্যালোচনা বড়ই গভীর।পর্যালোচনার এই পথ ধরেই, চিন্তার পরবর্তী পর্বে, তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন, জীবনের দারুণ এক মানবিক মীমাংসায়।
তথ্যসূত্র
১। Karl Marx, Economic and Philosophic Manuscripts of 1844, Trans. Martin Milligan, Dover Publications, New York, 2007.
২। Karl Marx & Frederick Engels, Marx & Engels Collected Works Volume 4, Lawrence & Wishart Electric Book, 2010.
সহায়ক গ্রন্থ
১। কার্ল মার্কস, ইকোনমিক এন্ড ফিলোজফিক ম্যানুস্ক্রিপ্টস ১৮৪৪, অনু. জাভেদ হুসেন, বাঙলায়ন, ঢাকা,২০১২।
২।কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, জর্মান ভাবাদর্শ, অনু. গৌতম দাস, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ২০০৯।
৩।কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, মার্কস-এঙ্গেলস নির্বাচিত রচনাবলি ভলিউম ১, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭৯।