ছড়া

 আস্তে কও

 

পানির ভিতর জল ঢুকেছে? মাইন্যা লও

ঘর বাড়ি গ্রাম সব ডুবেছে? মাইন্যা লও

হালের বলদ কাটছে সাঁতার? মাইন্যা লও

দাদার বাড়ির গেট খুলেছে?

—আস্তে কও

 

মফিজ মিয়ার ধান ভেসেছে? মাইন্যা লও

পানির ঠেলায় বাঁধ ভেঙেছে? মাইন্যা লও

চিপায় পড়ে চলছে জীবন? মাইন্যা লও

কাঁটাতারে ঝুলছে মানুষ?

—আস্তে কও

 

ট্রনজিট দেয় মাশুল ছাড়া? মাইন্যা লও

রোহিঙ্গার-ও খাইছো তাড়া? মাইন্যা লও

এনসিটিতে ফাঁইস্যা গেছো? মাইন্যা লও

বন্দরেতে দাদার দাপট?

—আস্তে কও

 

ঘরের ইঁদুর ধান খেয়েছে? মাইন্যা লও

সিস্টেমে দেশ লুট হয়েছে? মাইন্যা লও

রাত আঁধারে ভোট হয়েছে? মাইন্যা লও

এমন সময় জ্ঞানের কথা?

—আস্তে কও

 

ক্রসফায়ারেঠুশ

 

ক্রসফায়ারে — ঠুশ

ফুরুৎ ফারুৎ মারার পরও হয়না কারো হুঁশ

 

বেহুঁশ জাতি মাঞ্জা মেরে লকডাউনে ঘুমায়

এই সুযোগে চামচিকাও মিগ টুয়েন্টি থামায়

 

ক্রসফায়ারে — ঠাশ

চাম-চিকনে পাবলিকে খায় আইক্কাআলা বাঁশ

 

বেফাঁস কথা কইয়া দিলে ফিফটি সেভেন খাড়া

রিমান্ডেতে আন্ডা দিবো শুনছি ‘লিমিট ছাড়া’

 

ক্রসফায়ারে — আহ্

কখন যে কে ফিনিশ হলে বলবে জাতী ‘বাহ্’

 

বিচার ছাড়া ক্রসফায়াও কখনো নাকি গুড

চলবে নাকি ধুরুম-ধারুম রাত আঁধারে ‘ডুড’?

 

খয়রাতি

 

চীন সীমান্তে মিঁউ

পাক সীমান্তে ঘেউ

বঙ্গদেশে হালুম ডাকে

চিনছো তাকে কেউ?

 

ঘরের ভিতর হাম্বা ডাকে কী যে মিষ্টি সুরে

শুনছি নাকি দাদার মাথা হুদাই এখন ঘুরে

 

চীন সীমান্তে ফুস

পাক সীমান্তে ঠুশ

বঙ্গদেশে ধুরুম ধারুম

পাইছো কী তার হুঁশ?

 

মাশুল ছাড়া পন্য নেয়ার চায়না খবর শুনে

খয়রাতি কোন দাদা নাকি খুচরা কয়েন গোনে

 

শক্ত জিনিস চাটে

নরম জায়গা ঘাটে

বেশি নরম পাইলে দাদার

হুঁশ থাকে না খাটে!

 

শুনছি এবার লাদাখ নিয়া হইবো নতুন মুভি

চায়নাগোরে দেইখ্যা নিবো অজয়-সানি-ববি

 

ওয়াক থু

 

– কইছে কেঠা?

– হু,

– খাইয়া ফালা

– গু,

খাওয়ার পরে গুষ্টি শুদ্ধা বলছে — ওয়াক থু!

 

গাঞ্জা খাওয়া আলাপ মারে দুদিন পরে পরে,

ধ্বজভঙ্গ হু—ভাইরাসের ভয়েই মানুষ মরে!

 

– কইছে কেঠা?

– হু,

– মাইরা ফালা

– ফুঁ,

ফুঁয়ের সাথে হুয়ের মুখের খাইছে — ওয়াক থু!

 

হু—বাবারে মাথায় লইয়া মুরিদ দিছে ডান্স,

কদমআলী খুঁজতাছে তার বড়ি বেচার চান্স!

 

– কইছে কেঠা?

– হু,

– খাইয়া ফালা

– গু,

খাওয়ার পরে হুয়ের মুখেই মারলি — ওয়াক থু?

 

মিডিয়া নাকি হু—বাবার-ই রঙ মহলের দালাল,

দালালগুলা ফতোয়া দিছে গু খাওয়াটা হালাল!

 

লকডাউনের ফাঁদ

 

হাত ধুয়ে যাও, মাস্ক পরে রও

ঘুমিয়ে থাকো খাটে

দেখতে থাকো শুয়োরগুলো

দেশ কিভাবে চাটে

 

হাত ছুঁয়ো না, গা ছুঁয়ো না

স্বাস্থ্যবিধি খাও

মানুষ মরে সাফ হয়ে যাক

বের হবে না তাও

 

কারফিউ দাও, কারফিউ দাও

আওয়াজ তোলো জোরে

যাক না তাতে আকাল লেগে

কাঙালের জাত মরে

 

সবাই মিলে পাতছে এখন

লকডাউনের ফাঁদ

আর কিছুদিন পরে খাবো

মাথার গোজার ছাদ

 

চোরাই ভোটের চেয়ারম্যান

 

চোরাই ভোটের চেয়ারম্যান !

চাউল চুরি করলে তারে-

ক্যান যে হুদাই গাইল পাড়েন?

 

চোরাইমালে তারা ব্যাপক আরাম পায়

তাই তো তারা গুষ্টি শুদ্ধো হারাম খায়

 

চোরাই ভোটের মাতাব্বর !

চাউল চুরি না করলে তো-

উঠবে গায়ে পাগলা জ্বর!

 

চুরি-টা তার সাংবিধানিক অধিকার!

তার চুরিতে লাগাম দেয়ার সাধ্য কার?

 

চোরাই দেশের জনগণ!

পাঁচশ টাকায় বিক্রি হয়ে

এখন কেমন লাগছে- কন?

 

ভোটের সময় চোরকেইতো ভোটটা দ্যান!

ত্রাণের সময় সাধুর গুষ্টি খোঁজেন ক্যান?

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here